উত্তরপ্রদেশ: প্রধান শিক্ষকের (Head Master) মারে দৃষ্টিশক্তি (eyesight) হারিয়েছে তার মেয়ে এমনই অভিযোগ মায়ের। ঘটনাকে ঘিরে হুলুস্থুল পড়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttarparadesh) মোরাদাবাদে (Moradabade)। ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করেছে পুলিশ (Police)। তবে প্রধান শিক্ষক গীতা কারালের অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এদিকে মেয়ের মায়ের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের মারে তার কন্যার চোখ ফুলতে শুরু করে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু কিছু করা যায়নি।
আরও পড়ুন: মণিপুর যাচ্ছেন অমিত শাহ, বসবেন বিশেষ বৈঠকে
প্রধান শিক্ষক গীতা কারালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুলিশ এবং জেলা শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হন ছাত্রীর অভিভাবক। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোরাদাবাদের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের আধিকারিক বিমলেশ কুমারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে ওই প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি কোনও রকম মারধর করেননি। স্কুলে দৈহিকশাস্তি দেওয়া নিয়ম বিরুদ্ধ। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের পাল্টা দাবি, ছাত্রীর মা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট চাইতে তার কাছে আসেন। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন এই শংসাপত্র দেওয়ার এক্তিয়ার তার নেই। না বলার পরেই ছাত্রীর মা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এমনকী অভিযোগ দায়ের করারও হুমকি দেন তিনি।
এদিকে ছাত্রীর মায়ের দাবি, শিক্ষকের মারের পর থেকে তার মেয়ে ডান চোখে ব্যথা শুরু হয়। তার চোখের পাতা ফুলতে শুরু করে। চোখ ফুলে লাল হয়ে যায়। স্থানীয় চিকিৎসক এবং হাসপাতালে চিকিৎসার করানোর পরেও লাভ হয়নি। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গেছে।
দেখুন অন্য খবর: