ওয়েব ডেস্ক: ২০২৫ সালের শেষে ভারতের জনসংখ্যা (Population) দাঁড়াবে ১৪৬ কোটিতে। চীনকে (China) ছাপিয়ে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হিসাবে আরও দৃঢ়ভাবে জায়গা করে নেবে ভারত (India)। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations) জনসংখ্যা বিষয়ক দপ্তর ইউএনএফপি (UNFPA)-র প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমলেও সংখ্যাগত দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত। ২০২৩ সালেই রাষ্ট্রপুঞ্জ একটি প্রাথমিক হিসাব প্রকাশ করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, ভারত ইতিমধ্যেই চীনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে এবং সেই সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৪২ কোটি। সেই সংখ্যা আগামী বছর শেষে ১৪৬ কোটিতে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু কাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে কর্নাটক সরকার
তবে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাঝেও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে প্রকাশিত এই রিপোর্টে। আর সেটা হল ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (Total Fertility Rate) এখন নিম্নমুখী। মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। রিপোর্ট বলছে, ২০১১ সালের শেষ জনগণনার সময় দেশে গড় প্রজনন হার ছিল ২.১ সন্তান প্রতি মহিলা। কিন্তু বর্তমানে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯-এ। অর্থাৎ, ভারত ধীরে ধীরে জনসংখ্যা হ্রাসের পথে এগোচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবণতার পিছনে রয়েছে শিক্ষার প্রসার, নগরায়ণ, অর্থনৈতিক চাপ এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
উল্লেখ্য, ভারতে শেষবার জনগণনা (Census) হয়েছিল ২০১১ সালে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২১ সালের জনগণনা স্থগিত রাখা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের মে মাসে দেশে পরবর্তী জনগণনা হবে। এই নতুন জনগণনা থেকেই স্পষ্ট করে জানা যাবে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, লিঙ্গ অনুপাত, শিশুদের সংখ্যা ও প্রজননের বর্তমান হারের বাস্তব চিত্র।
দেখুন আরও খবর: