ওয়েব ডেস্ক: বুধবার লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ বিল, ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) বিলটি পেশ হতে পারে। লোকসভায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র। সাংসদ সংখ্যার নিরিখে, মোদি সরকারের (Modi Government) কাছে বিলটি পাশ করাতে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে শরিক দলগুলির সমর্থন এখানে ‘কি ফ্যাক্টর’ হতে পারে। বিশেষ করে, নীতীশ কুমারে জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রথমে নীতীশ কুমারের অবস্থান নিয়ে সংশয় থাকলেও জেডিইউ শেষমেশ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বিলের পক্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে আগামী চার বছরে বড় নির্বাচন নেই, তাই টিডিপি বিলের পক্ষে ভোট দেবে বলে স্পষ্ট করেছেন দলীয় মুখপাত্র প্রেমকুমার জৈন। এদিকে, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপিও দলীয় সাংসদদের বিলের সমর্থনে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: মোদির পর কি তিনিই প্রধানমন্ত্রী? জানিয়ে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
এনডিএ শরিকরা পাশে থাকলেও ওয়াকফ বিলের বিরোধীতায় একজোট হয়েছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, এসপি নেতা রামগোপাল যাদব, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি (এসপি) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে-সহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পর খাড়্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মোদি সরকারের অসাংবিধানিক এবং বিভেদকামী নীতির প্রতিফলন।”
প্রসঙ্গত, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে মোদি সরকারের ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বিজেপি-র ২৪০ জন সাংসদে রয়েছেন। পাশাপাশি, জেডিইউ-এর ১২, টিডিপি-র ১৬, এলজেপি-র ৫ এবং শিবসেনা (শিন্ডে)-র ৭ জন সাংসদ রয়েছেন। সব মিলিয়ে লোকসভায় ২৮০ সাংসদের সমর্থন পেতেই পারে কেন্দ্র।
এদিকে, রাজ্যসভায় এনডিএ-র ১২৫ জন সাংসদ রয়েছেন। ছয়টি আসন শূন্য থাকায় ১১৮ জন সাংসদের সমর্থন পেলেই বিলটি পাশ হবে। বিজেপি-র ৯৮, জেডিইউ-এর ৪, অজিত পওয়ারে-র এনসিপি-র ৩ এবং টিডিপি-র ২ জন সাংসদ রয়েছেন। অসম গণ পরিষদ ও তামিল মানিলা কংগ্রেসের সমর্থনের পাশাপাশি মনোনীত ছয় জন সাংসদও বিলের পক্ষে ভোট দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: