ওয়েবডেস্ক- দুর্গাপুরে (Durgapur) ডাক্তারি পড়ুয়াকে (Medical Student) নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে ৪। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। আরও একজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্ত দুর্গাপুর পুরনিগমের (Durgapur Municipal Corporation) অস্থায়ী কর্মী বলে খবর। রবিবার সকালে তিনজনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ রিয়াজ উদ্দিন, অপু বাউড়ি এবং ফিরদৌস শেখ। ধৃত তিনজনকে রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে (Durgapur Subdivision Court) হাজির করা হয়। বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে ‘প্রত্যক্ষ প্রমাণ’ মিলেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। রাতেই আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার, কি বললেন?
ধৃত পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী। আজ সোমবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। আরও এক অভিযুক্ত এখন অধরা। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের ঘটনায় ধৃতদের সকলেরই ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এখনও আটক রয়েছে নির্যাতিতার বন্ধু-সহপাঠী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে। অভিযোগপত্রে মোট পাঁচ জনের নাম লিখেছিলেন তরুণী। তাঁদের মধ্যে চার জন ধরা পড়েছে।
শনিবার রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তার গভীর মর্মাহত। পুলিশের তরফে আশ্বস্থ করা হয়েছে, অপরাধীরা কোনও মতেই রেহাই পাবে না। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। দ্রুত গতিতে তদন্ত চলছে।
দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার (Durgapur New Township Police Station) অফিসাররা ড্রোন উড়িয়ে পরানগঞ্জ কালীবাড়ি শ্মশান এলাকার জঙ্গলে তল্লাশি চালায়। রবিবার অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের পথে রওনা দেওয়ার পথেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অপরাধ দমনে রাজ্য সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
দেখুন ভিডিও-
–