নয়াদিল্লি: বেঙ্গালুরু (Bengaluru) টেকি (Techie) অতুল সুভাষ (Atul Subhash) মামলায় নয়া মোড়। চার বছরের সন্তানের হেজাফত পেলেন তার মা নিকিতা সিংহানিয়া (Nikita Singhania)। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে এই রায় ঘোষণা করে।
কোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, অতুল সুভাষের চার বছরের সন্তান তাঁর মা নিকিতা সিংহানিয়ার কাছে থাকবে। নাতিকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অতুলের মা অঞ্জু দেবী। বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং বিচারপতি এসসি শর্মা সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয়। আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করেছে যে শিশুটির তার ঠাকুমার সঙ্গে খুব কম সময় কাটিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, শিশুটি আবেদনকারীর কাছে অপরিচিত। চেনে না। তবে বিচারপতি নাগারথনা সুভাষের মা অঞ্জু দেবীকে নাতির হেফাজতের আবেদনে নিম্ন আদালতে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: ‘মন কি বাত’ থেকে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার প্রশংসা মোদির
বিচারপতি বেঞ্চ ওই শিশুর সঙ্গে ভিডিয়োর মাধ্যমে কথা বলেন, তার পর এই রায় দেন। শুনানির শুরুতে আবেদনকারী বিস্তারিত হলফনামা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন।
বিচারপতি নাগারথনা অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিলেন, এটি একটি হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন। আমরা শিশুটিকে দেখতে চাই। শিশুটিকে সেইভাবে তৈরি করুন। তাকে আদালতে আনতে হবে। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে শিশুটি ভিডিয়োতে উপস্থিত হয়। তার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আদালত সেইভাবে শিশুটির সঙ্গে কথা বলে।
বিচারপতি নাগারথনা এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ শিশুটিকে পরবর্তী শুনানিতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিকিতার গ্রেফতারের পরেই তাঁর শাশুড়ি নাতির হেফাজত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এমনকি সাংবাদিকদের সামনেও একাধিক অতুলের চার বছরের ছেলে অর্থাৎ নাতির হেজাজতের আবেদন জানান তার বাবা।
গত ডিসেম্বর মাসে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার উপর হেনস্থার কথা তুলে চরম পদক্ষেপ নেন বেঙ্গালুরু টেকি অতুল সুভাষ। এই ঘটনায় অতুল সুভাষের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, তার মা ও ভাইকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। পরে তিন জনেই জামিনে মুক্তি পান।
দেখুন অন্য খবর: