Friday, October 3, 2025
spot_img
HomeScrollউত্তরবঙ্গ মাতল দেবী ভান্ডানি দুর্গার আগমনে
Bhandani Durga Pujo

উত্তরবঙ্গ মাতল দেবী ভান্ডানি দুর্গার আগমনে

দুর্গা বিদায়ের বিষাদের মধ্যে একাদশীতে তিস্তাচরে ফের দেবীর বোধন

আলিপুরদুয়ার: উমা পাড়ি দিয়েছেন কৈলাশে। শূন্য দুর্গামণ্ডপ, চারিদিকে বিদায়ের সুর। কসলের মনে একটাই কথা এই তো এলে আর কটাদিন থেকে গেলে হতো না মা…। আবার এক বছরের অপেক্ষা। দশমী পর্ব মিটলেই শুভ বিজয়া। যদিও দু’দিন পরেই বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো। কিন্তু দেবী দুর্গা বিদায়ের বিষাদের মধ্যে একাদশীতে তিস্তাচরে ফের দেবীর বোধন। দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তরবঙ্গের গ্রাম বাংলায় ফের বোধনের সুর। শুক্রবার একদশীর সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের রাজবংশী অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে মা ভান্ডানী রূপে দেবীর আরাধনা। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারের পূর্ব ভোলারডাবড়ী,বাইরাগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকায় দুর্গা পুজিত হয় মা ভান্ডানী রুপে। মা দুর্গার দশহাত থাকলেও মা ভান্ডানী (Bhandani Durga Pujo)এখানে চতুর্ভুজা।

দেবী দুর্গার অপর রূপ দেবী ভান্ডানিকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ন বনাঞ্চলের বনবস্তিবাসীরা পুজো করে “বনদুর্গা রূপে”। উত্তরবঙ্গের (North Bengal Bhandani Durga Pujo) বনাঞ্চলেও তাই দেবী দুর্গার বিসর্জনের পর এক উৎসবের শেষে আরেক উৎসব শুরু হয়ে যায়। এক সময় কেবলমাত্র রাজবংশী সম্প্রদায়ের কৃষকরাই ভান্ডানি পুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠত, এখন সেই উৎসবে উত্তরবঙ্গের গ্রামাঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের মানুষই তাতে অংশগ্রহণ করে। ভান্ডানি দেবী দুর্গার আরেক রূপ। একাদশী থেকে চারদিন ধরে চলে এই উৎসব। সূচনা হয় দশমীর দিন ‘যাত্রা পুজো’ দিয়ে। শরতের পর হেমন্ত ঋতুতে যাতে চাষাবাদ ঠিকঠাক হয়, ভাল ফসল মেলে, তার জন্য কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্র- কাস্তে, লাঙল, মই প্রভৃতির পুজো হল‘যাত্রা’। আর তার পরের দিন থেকে শুরু হয় ভাণ্ডানী দেবীর বন্দনা।

আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল, থাকছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ

ভান্ডানি পুজোকে ঘিরে রাজবংশী সমাজে একটি সুন্দর লোককথা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া পূর্ব ভোলার ডাবরি গ্রামে ভান্ডানি পুজা এবার ১৩১ বছরে পড়ল। গ্রামের বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই পুজো হচ্ছে। পুজো উপলক্ষে বসছে মেলা। মানুষদের বিশ্বাস বাপের বাড়ি আরও একদিন অন্যরুপে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন মা দুর্গা। পুজা কমিটির বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ” এই পুজো আমাদের পূর্বপুরুষরা পত্তন করেন। এই পুজোর সময় গ্রামের সব মেয়েরা ও ছেলেরা যে যেখানেই থাকুন তারা বাড়িতে ফেরেন। বিসর্জনের পর এখানে বোধন হয় ভান্ডানি। পুজো উপলক্ষে ভোলার ডাবরির বি এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে বিশাল মেলা”।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News