ভোলানাথ বিজলী, হলদিয়া: নিয়োগ দুর্নীতি (Corruption in Recruitment) নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্টে দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) ও ভারতী ঘোষের (Bharati Ghosh) নাম। এই নিয়ে তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি (Tamluk MP Abhijit Ganguly) বলেন, তারা সুপারিশ করেছিলেন যখন তারা তৃণমূলে ছিলেন।
তৃণমূলের বহু লোকই এই কাণ্ডটা করেছে কেন তৃণমূলের উপর মহল থেকে বলেছিল আমরা চাকরি বিক্রি করছি। যারা কিনতে চাও তারা নাম পাঠাও। তারা হয়তো করেছে। হলদিয়ায় ভারতীয় মজদুর সংঘের অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে দিব্যেন্দু অধিকারীর নাম সেই নিয়ে দিব্যেন্দু বলেন, এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করব না। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। প্রমাণ যদি হয় যে সাজা দেওয়া হবে মাথা পেতে নেব।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রী দেখা করলেন অমিত শাহের সঙ্গে, কোনও বিশেষ ঘোষণা?
হলদিয়ায় ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশে যোগ দেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিব্যেন্দু বলেন, আমার অতীত ভুলে যান আমি এখন সাধারণ কার্যকর্তা একজন। আমার পদের কোনও প্রয়োজন নেই, লোভ নেই।
জানা গেছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর হাতে আসা তালিকাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। দাবি করা হচ্ছে, তাদের হাতে ৩২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নামের একটি তালিকা এসেছে। অভিযোগ হল, এঁরা কেউই যোগ্য প্রার্থী নন। চাকরি পেয়েছেন কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রী অথবা কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশে। অভিযোগ, এই ৩২৪ জনের মধ্যে ১১ জনের চাকরি পাওয়ার পিছনে নাকি দিব্যেন্দু অধিকারীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে!
উল্লেখ্য ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দিব্যেন্দু অধিকারী।
দেখুন অন্য খবর: