ওয়েব ডেস্ক: বিদায় ক্যাপ্টেন (Captain)। কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার হিরো (Kandahar Hijack Hero) ক্যাপ্টেন দেবী শরণ (Devi Sharan) কর্মজীবন থেকে অবসর (Retired) নিলেন। সমাপ্তি হল একটি যুগের। ৬৫ বছরের দেবী শরণ এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনারের উড়ানে মেলবোর্ন থেকে দিল্লিতে যাত্রা করলেন। এটাই তাঁর চার দশকের বিমান জীবনের শেষ জার্নি। ক্যাপ্টেন দেবীশরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অবসর সম্পর্কে লিখেছেন, এবার তো পার্টি শুরু হল।
ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট আইসি ৮১৪। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল যে বিমানের নাম। তার কমান্ডার ছিলেন এই দেবী শরণ। ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ওই বিমান ছিনতাই হয়েছিল। এবার ককপিট থেকে বেরিয়ে এলেন ক্যাপ্টেন। হাতে ব্যাগ। বাই বাই উড়ান। ১৯৮৪ সালে যে পেশায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বাবা বদলেছেন অতিশী’ ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা বিধুরির
তাঁর সম্পর্কে বলা হয়, তিনি প্রকৃতই ক্যাপ্টেন। অধিনায়ক হয়ে নিজের চারপাশে থাকা মানুষের ভালোমন্দের ভার নিয়ে নিতেন। এই বিষয়ে দেবী শরণ বলেছিলেন, একজন যাত্রী হিসেবেও আমি আমার চারপাশে থাকা মানুষদের দিকে লক্ষ্য করতাম। যাতে সবাই ভালো থাকেন। সাহসিকতার জন্য সবার সম্মান আদায় করে নিয়েছিলেন দেবীশরণ। বিমানটির কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি তা ছিনতাই করে। এরপর অমৃতসর, লাহোর, দুবাই হয়ে তালিবানের ডেরায় গিয়ে কান্দাহারে পৌঁছয় ওই বি্মান। ক্যাপ্টেন দেবী শরণের বুদ্ধিমত্তার জন্য ১৭৬ জন যাত্রীর জীবন বেঁচে যায়। এই বিষয়ে দেবী শরণ বলেছিলেন, আইসি ৮১৪ ছিনতাই আমাকে শিক্ষা দিয়েছিল, জীবন অপ্রত্যাশিত। লড়াই করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই মুহূর্তে সবার জীবন বাঁচানোই আমার একমাত্র কাজ ছিল।
তবে ক্যাপ্টেন দেবী শরণ এরপর ২০০০ সালে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে ঝুঁকি নিয়ে বিমান নিয়ে ফিরেছিলেন। এখন তিনি অ্যান্টার্কটিকা ও সাইবেরিয়ায় যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
দেখুন অন্য খবর: