ওয়েবডেস্ক: ভারতে থাকার জন্য পাক মহিলার (Pakistani Woman) দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আবেদন (Long Term Visa Application) খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সরকারি নীতি যেহেতু জাতীয় সুরক্ষার (National Security) সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এই ব্যাপারে আদালত সেই নীতিগত সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে পারে না। অভিমত দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত’র।
ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে বিবাহিত সিনা নাজের দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আবেদন ২৩ এপ্রিল। পাক নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল থেকে স্থগিত কেন্দ্রীয় সরকারের। এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা সহ তার ২৭ মার্চ থেকে ৯ মে পর্যন্ত থাকা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট সাসপেন্ড না করার জন্য হাইকোর্টে সিনা।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বৈসারণে ২২ এপ্রিল জঙ্গিহানায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ভারত। পাকিস্তানকে হুঙ্কার দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে পাঁচটি পদক্ষেও নিয়েছে ভারত সরকার। এর মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সিন্ধু জল চুক্তি, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া, বাতিল সার্ক ভিসা।
আরও পড়ুন: জাতীয় সুরক্ষা সম্পর্কিত সরকারি নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত
এই ভিসার অধীনে ভারতে আসা পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়তে হবে, ফিরে যেতে দেশে। সেইভাবেই পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে দেশে ফিরে আসতে হবে। ২৭ এপ্রিলের মধ্যেই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। তবে যারা চিকিৎসাজনিত কারণে ভারতে এসেছিলেন, তাদের আরও দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে এদেশে থাকার। চিকিৎসাজনিত কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ ২৯ এপ্রিল। ইতিমধ্যেই সেই কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ভিসা বাতিল নিয়ে কড়া পদক্ষেও নিয়েছে ভারত সরকার। চারধাম যাত্রাতেও ৭৭ জন পাকিস্তানি হিন্দু তীর্থযাত্রীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এতগুলো নিরীহ মানুষের মৃত্যু বৃথা যাবে না, দোষীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা তারা কোনওদিন ভাবতেও পারেনি।
দেখুন অন্য খবর: