শান্তিপুর: কালীপুজোর (Kali Puja 2025) চাঁদার নামে জুলুম! সমবায় সমিতির অফিসেই মদের আসর বসে গেল আধিকারিকদের। হাতেনাতে ধরা পড়তেই চাঞ্চল্য নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরে (Shantipur)।
অভিযোগ, ফুলিয়ার একটি সমবায় সমিতির দুই আধিকারিকরতন রায় ও সৌমেন সরকার, গতকাল রাতে অফিসের মধ্যেই বসেছিলেন মদ-মাংসের আসরে। বাজার কমিটির সদস্যরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সমবায় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ খাতা-পত্রের উপরেই রাখা রয়েছে মদের গ্লাস ও খাবারের পাত্র।
আরও পড়ুন: ৫৬তম বর্ষে কৃষ্ণনগরের ক্লাব সাথীর শ্যামাপুজোয় এবছরের ভাবনা মায়ানমারের বৌদ্ধ মন্দির
ঘটনার পর বাজার কমিটির সদস্যরা অভিযুক্তদের অফিস থেকে বের করে দেন এবং সমবায়ের দরজা তালা দিয়ে দেন। গত বছর যেখানে পুজোর চাঁদা ছিল ৬ হাজার টাকা, এ বছর তা এক লাফে বেড়ে ৬০ হাজারে পৌঁছেছে! অভিযোগ, এলাকার প্রায় ২০ জন টোটোচালক, যাঁরা প্রতিদিনের আয়ে সংসার চালান, তাঁদের কাছ থেকেও এই বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাজারের দিন আনা দিন খাওয়া সবজি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি তত্ত্বাবধানে চলা ওই কো-অপারেটিভ সোসাইটির হিসাবরক্ষক ও ক্লার্ক নিয়মিত অফিসেই মদ্যপান করেন এবং পুজোর নামে লক্ষাধিক টাকা তোলেন। যদিও অভিযুক্ত সৌমেন সরকার স্বীকার করেছেন, “গত রাতের ঘটনাটি আমাদের বড় ভুল হয়েছে। আমরা সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”
সূত্রের খবর, ওই সমবায় সমিতির মেয়াদ কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। নতুন নির্বাচন না হওয়ায় পুরনো কমিটিই আজও দায়িত্বে থেকে এইসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ী, টোটোচালক ও বাজার কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যেই ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে বিডিও স্থানীয় সি-আই আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি গিয়ে মদ্যপানের ঘটনাসহ একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পান।
বিডিও সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত সমবায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে এবং বর্তমান পুজো কমিটি বদলে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় এবং সাধারণ মানুষের উপর চাঁদার জুলুম বন্ধ হয়।
দেখুন আরও খবর: