ওয়েব ডেস্ক : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC) মামলায় অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর (Sujay Krishna Bhadra) জামিন আবেদনের শুনানিতে বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির অভিযোগ, শাসক দলের নিচুতলার কর্মীদের কাছ থেকে সংগৃহীত দুর্নীতির টাকা সরাসরি উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছত না। সেই অর্থ পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ। যিনি পরিচিত মহলে ‘কালীঘাটের কাকু’ নামে পরিচিত।
ইডির (ED) আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, ‘২০ মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইসিআর ৬ রেজিস্টার করা হয়েছিল। পরে এই মামলায় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর নাম জড়ায়। তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব। প্রার্থীদের কাছ থেকে তিনি সরাসরি টাকা নিতেন না, বরং এজেন্ট ও সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতেন। কুন্তল ঘোষের মতো অভিযুক্তরা বিভিন্ন সাব-এজেন্টের কাছ থেকে টাকা তুলে সুজয়ের হাতে দিত। এরপর সেই টাকা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।’ এই মধ্যস্থতার জন্যই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থ পেতেন বলে দাবি ইডির।
আরও খবর : ভিড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি, বন্ধ হচ্ছে এই পরিষেবা, একাধিক সিদ্ধান্ত বদল মেট্রোর
ইডির (ED) দাবি, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিওও ছিলেন। এই কোম্পানি তৈরি হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি চালানোর জন্য। কুন্তল ঘোষ সুজয়ের নির্দেশে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে নকল কাউন্সেলিং চালু করেছিলেন। এমনকি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।
প্রসঙ্গত, এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির ছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। শুনানিতে ইডি জানায়, তাদের হাতে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যা তারা পরবর্তী শুনানিতে পেশ করতে চায়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর।
দেখুন অন্য খবর :