উত্তরাখণ্ড: ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পার, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ জারি আছে। উত্তরাখণ্ডের (Uttrakhand) বদ্রীনাথে (Badrinath) তুষারধসে (Badrinath Avalanche) চারজন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও পাঁচজন শ্রমিককে প্রাণপণ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের অদূরে মানা গ্রামে হঠাৎ করে বিপর্যয় নেমে আসে, শুরু হয় তুষারঝড়।
আটকে পড়ে অর্গানাইজ়েশন বা বিআরও-র অন্তত ৫৫ জন শ্রমিক। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশও (আইটিবিপি), সেনা উদ্ধারকাজ শুরু করে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army) । এখনও আটকে পাঁচ জন।
আরও পড়ুন: ‘ভুতুড়ে ভোটার’ ধরতে এবার ময়দানে সাংসদ সায়নী ঘোষ ও বিধায়ক লাভলী মৈত্র
শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলার মানা গ্রামে তুষারধস নামে। ওই গ্রামেরই বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন বা বিআরও-র অন্তত ৫৫ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। তাদের ক্যাম্পের কাছে এই তুষারঝড়ের ঘটনা ঘটে। যদিও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বার বার উদ্ধারকাজে বাধা পড়ছে। অবিরাম চলছে তুষারপাত। দৃশ্যমানতা কম থাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যা দেখা যায়। হেলিকপ্টারে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। শনিবার থেকে কপ্টারে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সারা রাত সেখানে প্রায় ২৫ জন আটকে ছিলেন।
শনিবার সকাল থেকেই জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শ্রমিকদের উদ্ধার করে জোশীমঠে সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহত শ্রমিকদের মধ্যে চার জনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মানায় তুষারধসে আটকে পড়া ৫৫ জন শ্রমিকের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে চামোলি পুলিশ। তালিকায় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ১১ জন করে শ্রমিক রয়েছেন। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশের সাত জন, জম্মু ও কাশ্মীরের এক জন এবং পঞ্জাবের এক জন শ্রমিক রয়েছেন। বাকি ১৩ জন শ্রমিকের ঠিকানা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের পুরো নাম এবং আধার নম্বরও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
দেখুন অন্য খবর: