কলকাতা: জলমগ্ন কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আট জনের মৃত্যু। এই ঘটনার পরও উদাসীন প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে এবার পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highchourt) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। মামলা দায়েরের অনুমোদন কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সোমেন সেনের (Soumen Sen) ডিভিশন বেঞ্চের। এই নিয়ে মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে জলমগ্ন (Water logged) পরিস্থিতি তৈরি হয়। একরাতের অতিভারী বৃষ্টিতে শহর হয়ে ওঠে কার্যত অচল। সোমবার রাতের বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন প্রাম্তে কোমড় জলে নাজেহাল হয়ে ওঠে মানুষ। যানচলাচল প্রায় ব্যাহত হয়ে পড়ে। সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবিরা রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পরেন। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এই দায় কার? সিএসসি কি যথাযথ ভূমিকা পালন করে? এইসব একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার প্রশাসন উদাসীন বলে অবিযোগ তোলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোমিনপুরের মৃত ব্যক্তির বাড়িতে মেয়র, কী বার্তা ফিরহাদের?
শহর কলকাতা জলমগ্ন, বা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার সেই চিত্র ধরা পড়ছে। তবে একসঙ্গে শুধুমাত্র শহর কলকাতায় এত মানুষের মৃত্যুতে কার্যত শোকস্তব্ধ প্রশাসনও। একদিকে, সামনেই দুর্গাপুজো। প্যাণ্ডেল তৈরির প্রস্তুতি একেবারে শেষপর্যায়ে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে আলোকসজ্জার কাজ। সেইকারণে কোথাও বিদ্যুৎের তাঁর খোলা ছিল কী না! বা সেই থেকে কোনও সমস্য়ার তৈরী হয়েছে কী না, এরকম একাধিক প্রশ্ন থাকছে।
দেখুন খবর: