কলকাতা: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে জতুগৃহ খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট (Khidirpur Market Fire)। রবিবার রাত ২টো নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে খিদিরপুরের শতাব্দী প্রাচীন বাজারে এই মাখনের গুদাম থেকে আগুন লাগে। চোখের নিমেষে আগুন গোটা মার্কেটটিকে গ্রাস করে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। বর্তমানে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে। কুলিং, পকেট ফায়ারগুলি নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখন। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৪০০ দোকান। রবিবারের রাত পেরিয়ে সোমবার দুপুর পরও ওই মার্কেটের কোথাও এখনও জ্বলছে আগুন। কোথাও দেখা যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। চারিদিকে হাহাকার সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Minister Sujit Basu)। তাঁর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। দেরিতে দমকল আসায় মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে বাসিন্দারা।
খিদিপুরের প্রাচীন মার্কেটে শয়ে শয়ে দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কারও বা দোকানে ছিল নগদ টাকা। কারও দোকানের ভিতরে ছিল প্রয়োজনীয় নথিপত্র। আগুন গিলেছে সবই। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। সব কিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। পথে বসার উপক্রম তাদের। কী করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:বর্ষা কবে, দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর
দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, আগুনের বিষয়ে জানানোর অনেক পরে দমকল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু দমকল প্রায় তিন ঘণ্টা পরে আসে। দমকল আর একটু তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এত বড় ক্ষতি হত না বলেই দাবি ব্য়বসায়ীদের। স্থানীয় কাউন্সিলর বলছেন, দোকান পুড়েছে ৪০০টি। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, ১৩০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘একটা গাড়ি আসতে গেলেও তো কিছু সময় লাগে। ওয়াটগঞ্জ, গার্ডেনরিচ থেকে দমকলের গাড়ি এসেছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দাবি করেছেন, এই সব দোকানের মধ্যে অনেকগুলোই বেআইনি। দোকান করার সময় অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা দেখব। এদিকে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে আগুনের কারণ খোঁজার জন্য তদন্ত শুরু হবে।
দেখুন ভিডিও