নয়াদিল্লি: ধর্মীয় মেরুকরণ থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যভ্যাসের হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলির! দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতেই স্বমহিমায় পদ্ম শিবির। এবার নয়া ফতোয়া জারি করলেন বিজেপির রবীন্দ্র নেগি (BJP Ravindra Negi) ।
এই বিজেপি বিধায়কের (Bjp MLA) দাবি দিল্লিতে চৈত্র নবরাত্রি (Navaratri) চলাকালীন মাংসের দোকানগুলি (Meat Shop) বন্ধ রাখতে হবে। বিজেপি নেতার এই নতুন নিদান নিয়ে জোর চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজধানীতে। বিধায়ক নেগির বক্তব্য, দিল্লি জুড়ে এই নির্দেশিকা কার্যকর না হলে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা পাটপরগঞ্জে (Patparganj constituency) দোকান রাখার চেষ্টা করবেন।
চৈত্র নবরাত্রি মা দুর্গার আরাধনা। ৩০ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এই পুজোর্চ্চনা শেষ হবে আগামী ৬ এপ্রিল ।
এদিকে ওই সময় ইদ। যা ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল পালিত হতে পারে। সেই সময় মাংসের দোকান বন্ধ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা, নীতীশ কুমারের ইফতার বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির
নেগি বলেন, আমার এলাকার মন্দিরের সামনে মঙ্গলবার খোলা মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রাখার জন্য অভিযান চালিয়েছিলাম। এখন দোকানগুলো মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। নবরাত্রি বছরে দুবার আসে, আমি সমস্ত ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবার মাংসের দোকান বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করছি। আমার অনুরোধ যে নবরাত্রিতে কোনও মাংসের দোকান খোলা উচিত নয়, বিশেষ করে মন্দিরের সামনের দোকানগুলি। ২৭ বছর পর, আমাদের এখানে একটি সরকার আছে এবং আমরা দাবি করব যে দিল্লি জুড়ে মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হোক।
নেগি জানিয়েছেন, এই মর্মে একটি লিখিত আবেদন জেলা শাসক ও দিল্লি পুরসভা, কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছেন।
নেগির আরও বক্তব্য, “আগের সরকারগুলি কখনও আমাদের অনুভূতিকে সম্মান করেনি, তারা কেবল হিন্দু ভোট নিয়েছে। এখন আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা পরিবর্তন আনব। অন্তত এই নয় দিনের জন্য, মাংসের দোকানগুলি বন্ধ রাখা উচিত।
ইদের প্রসঙ্গ উঠতেই নেগির দাবি, এটি গণতান্ত্রিক দেশ। প্রত্যেকেই তার নিজের উৎসব পালন করতে পারে। এটি ‘মিঠি ইদ’। এই সময় মানুষকে সিমাই খাওয়নো হয়। পরে বকরি ইদ আসবে, কিন্তু এখন দোকান পাঠ বন্ধ রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্র নেগি বিনোদ নগর ওয়ার্ডের প্রাক্তন এমসিডি কাউন্সিলর। আগেও তিনি এই ধরনের দাবির জন্য খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিছু ভিডিয়োতে দেখা গেছে, হিন্দু রাস্তার বিক্রেতাদের গাড়িতে গেরুয়া পতাকা লাগানোর নির্দেশ দেন। তাঁকে মাংসের দোকানগুলিতেও দেখা গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে হিন্দু অনুভূতির কথা বিবেচনা করে মাংসের দোকানগুলি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
দেখুন অন্য খবর: