Wednesday, November 12, 2025
HomeScrollপ্রতিবছর ভোট দেওয়ার পরও ভোটার তালিকা থেকে উধাও নাম! উঠছে প্রশ্ন
SIR

প্রতিবছর ভোট দেওয়ার পরও ভোটার তালিকা থেকে উধাও নাম! উঠছে প্রশ্ন

কাদের ভুলে তালিকা থেকে নাম গায়েব হয়েছে? 

মালদা: কোথাও একই পরিবারের ৭ জনের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে উধাও! আবার কোথাও নাম নেই বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী থেকে প্রিসাইডিং অফিসারের! গোঘাটের একাধিক জায়গায় নির্বাচন কমিশনের তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলছেন ভোটাররা। এর জেরে এসআইআর আতঙ্ক গ্রাস করেছে নাম না থাকা সাধারণ ভোটারদের মনে।

প্রতিবছর ভোট দিলেও কাদের ভুলে তালিকা থেকে নাম গায়েব হয়েছে?  তা নিয়ে  প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। গোঘাটের রঘুবাটি পঞ্চায়েতের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা পেশায় চাষী, অসীম পোড়েল। তাঁর বৃদ্ধা মা সহ কারও নাম নেই তালিকায়। বর্তমানে মাঠে ধান কাটার কাজ চলছে জোরকদমে। সেই কাজ ফেলে তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। চিন্তায় রাতের ঘুম উবেছে পরিবারের। ইতিমধ্যেই তাঁরা সকলেই এনুমারেশন ফর্মও পেয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, “আমরা তো কোনও ভুল করিনি, তাহলে তাদের এত ঝামেলা পোহাতে হবে কেন”? এদিকে গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা শোভা ধাড়া ১৯৯১ সালে গোঘাট বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। সেই প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমতি পেয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছেই। বর্তমানে সেই নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকা থেকেই বাদ গিয়েছে নাম। তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সুধীরচন্দ্র ধাড়া একসময় ভোটে প্রিসাইডিং অফিসারের ডিউটি সামলেছেন। অথচ ধাড়া দম্পতির নাম নেই কমিশনের প্রকাশিত তালিকায়। নাম বাদ যাওয়া নিয়ে তাঁরাও চিন্তায় রয়েছেন। এদিকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজাও।

আরও পড়ুন: SIR-এর কাজ করতে গিয়ে এবার কেঁদে ফেললেন BLO!

সাধারণ মানুষকে হয়রানির জন্য নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করার পাশাপাশি প্রত্যেক ভোটারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, সেই দায় আবার বিজেপি ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক এই কচকচানির মধ্যে সাধারণ মানুষ ঠিক কী বলছে, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

দেখুন খবর: 

Read More

Latest News