কলকাতা: বছর ঘুরলেই বাংলায় বড় ইভেন্ট। বঙ্গবাসী পরীক্ষক, আর তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের কাছে বড় পরীক্ষা। তার আগে ‘বাঙালি অস্মিতা’- এই শব্দ বন্ধ এখন বঙ্গ রাজনীতির জ্বলন্ত ইস্যু। শাসক-বিরোধী-প্রত্যেক দল সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে ঘুরে বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে মনোনিবেশ করেছে। বাঙালি অস্মিতা রক্ষার কথা শোনা যাচ্ছে শাসক-বিরোধী থুই শিবিরের নেতৃত্বর মুখে! শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে আরও একবার উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। দমদমের বক্তৃতায় বাংলায় উন্নয়ন, আর সেক্ষেত্রে বিজেপি সরকার আনা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই জুড়ে ছিল ভাষণে। আর সবটা জুড়ে ছিল বাংলা ও বাঙালি। সে বাংলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের নামই হোক, কিংবা মণীষীদের নাম! আর সর্বোপরি বাংলায় গান! মোদির (Narendra Modi in Bengal) মুখে সবটা জুড়ে ছিল বাংলা। কালীচরণে প্রণাম করেই বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত জুলাই মাসে দুর্গাপুরের সভা থেকে বাঙালি অস্মিতাতেই সান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। একেবারে খাঁটি বাংলা ভাষায় বক্তব্য রেখেছিলেন। দমদমের সভাতেও তার অন্যথা হল না। এবারও কালীচরণে প্রণাম করেই বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর মুখে শোনা গেল দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, করুণাময়ী কালী মন্দিরের নামও। তবে এদিন ‘রাম -নাম’ না শোনা গেলেও এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদির বক্তব্যে উঠে আসে ভক্ত হনুমানের নামও।
আরও পড়ুন: বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির কাছে রোডম্যাপ আছে, ঘোষণা মোদির
গত সাড়ে তিনমাসের মধ্যে এই নিয়ে তিনবার বাংলায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একগুচ্ছ মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে সভা করেন তিনি। আর সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে আক্রমণ শানান। তবে এদিন বক্তব্যের শুরুতেই নিয়ম মেনেই একেবারে বাংলা ভাষায় মোদি বলেন, বড়রা প্রণাম নেবেন আমার, ছোটরা ভালোবাসা। পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, করুণাময়ী কালী মন্দিরের নাম করেই প্রণাম জানান। এর সঙ্গেই বাংলা এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গও টানেন। আমি এমন সময়ে কলকাতা এলাম যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়া চলছে। এর সঙ্গে যখন উন্নয়ন জুড়ে যায়, খুশি তখন দ্বিগুণ হয়ে যায়।’’
প্রতিবারই রাজ্যে এসে বক্তব্যের শুরুতে বাংলাতে কথা বলতেই চেষ্টা করেন। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রেখেই ভাঙা ভাঙা বাংলাতে বক্তব্য রাখেন মোদি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বাঙালি আবেগে শান দিতেই এদিন মোদির মুখে শোনা গেল কালি-দুর্গার নাম। অন্যদিকে এদিন ‘রাম -নাম’ না শোনা গেল না, মোদির বক্তব্যে উঠে এসেছে ভক্ত হনুমানের কথা। একদিকে বাঙালি আবেগ অন্যদিকে হিন্দিভাষী ভোটারদের বার্তা দিতেই মোদির বক্তব্যে উঠে এল ভক্ত হনুমানের কথা।
অন্য খবর দেখুন
