নয়াদিল্লি: মকর সংক্রান্তি বা মৌনী অমাবস্যায় নয়, বসন্তপঞ্চমী, মাঘী পূর্ণিমা বা শিবরাত্রিতেও নয়। তিথি নক্ষত্র মেনেও নয়। দিল্লির ভোটের (Delhi Assembly Election) দিন মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর কুম্ভ রাজনীতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মোদি মহাকুম্ভে স্নান করবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। যেদিন কোনও শাহি স্নান নেই। কোনও বিশেষ তিথি-নক্ষত্রও মেনে নয়, ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণহীন ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ওইদিন দিল্লির ভোট। মহাকুম্ভে স্নানের জন্য দিল্লির নির্বাচনের দিনকে নির্বাচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ ও ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে প্রচার শেষে ধ্যানে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার চলছে মহাকুকম্ভ মেলায়। ১২ বছর অন্তর অন্তর আসে কুম্ভ। অন্যদিকে ৫ ফ্রেরুয়ারি, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের দিন। ওই দিন কোনও তিথি নক্ষত্র না থাকার সত্ত্বেও কুম্ভ স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদি দিল্লি জয়ের মনস্কামনায় কুম্ভস্নানের জন্য ভোটের দিনকে নির্বাচন করেছেন। যদিও বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, দিল্লির ভোটের সঙ্গে এই দিন নির্ধাণের সম্পর্কই নেই। যদিও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে এত মানুষের মৃত্যুর পরও কেন স্নান বাতিল করতে পারলেন না মোদি?
বুধবার ভোররাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছে ৬০ জন। মহাকুম্ভে লক্ষাধিক ভক্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকাঠামো জোরদার করেছে। কুম্ভমেলায় প্রবল ভিড় সামলাতে পুলিশ-প্রশাসন নাজেহাল। প্রায় প্রতিদিনই ভিআইপিরা স্নানে যাচ্ছেন। শাহি স্নানের দিনগুলিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই বড়সড় চ্যালেঞ্জ। তাই ইচছাকৃতভাবেই প্রধানমন্ত্রী কোনও শাহি স্নানের দিন কুম্ভমেলায় উপস্থিত হবেন না বলে স্থির করেছেন। আর বিজেপির এই দাবির পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন দিল্লি ভোটের দিনই কুম্ভস্নান সারার সিদ্ধান্ত নিলেন মোদি? শাহি স্নানের নির্ঘণ্ট বা বিশেষ তিথিনক্ষত্র না থাকার পরও ভোটের দিন কুম্ভস্নান কী রাজনীতির অঙ্গ নয়? বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ আরও জোরাল হয়ে উঠল কি?
অন্য খবর দেখুন