ওয়েবডেস্ক– বিক্ষোভের জেরে জ্বলছে নেপাল (Nepal)। প্রবল চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর (Pm) পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। সোমবার থেকে অগ্নিগর্ভ গোটা কাঠমাণ্ডু (KathMandu) জুড়ে। মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০ সেনা। মঙ্গল সকাল থেকেই নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করে জেন জি রা। প্রধানমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের বাড়িতে।
কেপি শর্মার ওলির বাড়িতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সব কিছু পুড়ে ছাই। এদিকে রাস্তায় তাড়া করে বেধড়ক মারধর করা হল উপপ্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে বিষ্ণু পোডেলকে (Finance Minister Vishnu Podel) । লাথি, কিল, চড়, ঘুষি কিছুই বাদ গেল না। লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের হাতে মার খেলেন উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা, বিদেশমন্ত্রী আরজু বানা। নেপালের সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। কালো ধোঁয়ায় ভরে গেছে সংসদ। সুপ্রিম কোর্টের ভাঙচুর চালানো হয়েছে। নেপালের অ্যার্টর্নি জেনারেলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
সেনার তরফ থেকে ওলি-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে হেলিকপ্টার করে তুলে আনা হয়। কিন্তু ওলি এবার কোথায় যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, শোনা যাচ্ছে তিনি দুবাইতে আশ্রয় নিতে চাইছেন।
ভারতের (India) উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। পাঁচ রাজ্যেই সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে একাধিক পদক্ষেপ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে জারি হাই অ্যালার্ট (High Alert)।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাড়ি ভাংচুর! বাংলাদেশের পথে এগোচ্ছে নেপাল?
ভারতের প্রায় শতাধিক ট্রাক চালক নেপাল সীমান্তে আটকে রয়েছে। শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের আগে থেকেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। এবার চব্বিশ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ । এদিন সকাল থেকেই ভারত-নেপাল পানিট্যাঙ্কি সীমান্তর পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ।
দেখুন আরও খবর-