কলকাতা: সিবিআইয়ের (CBI) দেওয়া প্রমাণের (Evidence) ভিত্তিতে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)। এদিন বিচারক (Judge) অনির্বাণ দাস ৬৪, ৬৬, ২০৩ (১) ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করেছেন। সঞ্জয় রায় এদিনও নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন। কিন্তু বিচারক তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন যে, সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে এই মামলায় দোষী পাওয়া গিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতে পেশ করা চার্জশিটে (Chargesheet) সিবিআই কী কী প্রমাণ দিয়েছিল? চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, সিবিআইয়ের দেওয়া ১১টি প্রমাণ, যা থেকে সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন ধারায় দোষী সঞ্জয় রায়? কী কী শাস্তি হতে পারে?
১. সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘটনার দিন ৯ আগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চারতলায় উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয়।
২. সঞ্জয়ের মোবাইল ফোনের লোকেশন থেকে প্রমাণ মিলেছে যে, তিনি সেই রাতে হাসপাতালেই ছিলেন।
৩. ময়নাতদন্তের সময় মৃতার দেহ থেকে পাওয়া ডিএনএ সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
৪. সঞ্জয়ের প্যান্ট এবং জুতো থেকে পাওয়া রক্তের দাগ মৃতার রক্তের সঙ্গে মিলেছে।
৫. ঘটনাস্থলে পাওয়া ছোট ছোট চুল সঞ্জয়ের চুলের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
৬. ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোন সঞ্জয়ের মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার সময় সঞ্জয়ের গলায় ইয়ারফোনটি ছিল, কিন্তু ফিরে আসার সময় তা আর দেখা যায়নি।
৭. সঞ্জয়ের শরীরে পাওয়া ক্ষতচিহ্ন ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে। প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, এই ক্ষতচিহ্ন ৮ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে তৈরি হয়েছে, যা ঘটনার সময়ের সঙ্গেই মিলে যায়।
৮. মৃতার প্রতিরোধের ফলে সঞ্জয়ের শরীরে ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছিল।
৯. সঞ্জয়ের শারীরিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে, তিনি সঙ্গমে অক্ষম নন।
১০. ঘটনাস্থলে পাওয়া মৃতার অন্তর্বাসে জোরজবরদস্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
১১. মৃতার পরা কুর্তিতে টানাহেঁচড়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় যে শারীরিকভাবে জোর প্রয়োগ করা হয়েছিল।
দেখুন আরও খবর: