পরিতোষ সরকার, মালদা- সরকারি টেন্ডারে (Government Tender) অনিয়মের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের (Panchayat Pradhan) বিরুদ্ধে। কাটমানির বিনিময়ে মুষ্টিমেয়ো ঠিকাদারদের মধ্যে সরকারি কাজ বন্টন করে দিয়েছেন প্রধান, এই অভিযোগ তুলে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন একদল ঠিকাদার। মালদার (Malda) মানিকচক (Manikchak) ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন একদল ঠিকাদার।
মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের। প্রশাসন খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক দাবি ঠিকাদারদের। অন্যদিকে সমস্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে করা হয়েছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। বিজেপি পরিচালিত হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত প্রধান অনিমা রানী মন্ডল।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের লক্ষ্যে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার নতুন করে টেন্ডার করেছে। সম্প্রতি নতুন টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে টেন্ডারের যাবতীয় কাজ হয়।
আরও পড়ুন- দিঘায় শুরু জগন্নাথের স্নান যাত্রা উৎসব
এই নতুন টেন্ডারের অর্থে ঢালাই রাস্তা, কমিউনিটি টয়লেট, পানীয় জলের ট্যাংক সহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে।
প্রধান পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মচারীদের সাথে নিয়ে কাটমানির বোঝাপড়ার কারণে নিজেদের মুষ্টিমেয়ো ঠিকাদারদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। এই ধরনের সরকারি কাজ পেতে যে ধরনের কাগজের প্রয়োজন সেই কাগজ না থাকার পরও ওই সমস্ত কন্ট্রাকটরদের কাজ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু সমস্ত কাগজ সঠিক থাকার পাশাপাশি সরকারি ছাড়ের সমস্তটাই সঠিক হওয়ার পরও এই সমস্ত কন্টাকটারদের বঞ্চিত করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যাদের কাজ দেওয়া হয়েছে তারা হয়তো মোটা অঙ্কের কাটমানি দিবে প্রধানকে সে কারণেই এই কাজগুলি তাদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। আর এইমত অবস্থায় বঞ্চিত ঠিকাদারেরা মানিকচক ব্লক বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কাছে তারা অভিযোগ দায়ের করবেন।
বঞ্চিত ঠিকাদার মোহাম্মদ নৈমুদ্দিন ও বাসীর আলম বলেন, স্থানীয় ঠিকাদারদের কাগজ সঠিক না থাকার পরও তাদের কাজ দেয়া হয়েছে।
প্রধানকে ওই সমস্ত ঠিকাদারদের কাগজ সঠিক না থাকার কথা বললেও কর্ণপাত করেননি। কেবলমাত্র কাটমানির জন্যই প্রধান সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে সমস্ত কাজ নিজেদের কন্ট্রাক্টরদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছে। আমরা চাই প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করুক। যে সমস্ত ঠিকাদারদের কাগজ সঠিক রয়েছে তাদেরকেই কাজ দেওয়া হোক।
যদিও এই ধরনের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধান অনিমা রানী মন্ডলের স্বামী শঙ্কর চন্দ্র মন্ডলের। সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে অনলাইনে টেন্ডার করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন বা টাকা-পয়সার বিনিময়ে নিজেদের কন্ট্রাক্টরদের মধ্যে কাজ দেওয়ার যে ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে সমস্তটাই ভিত্তিহীন। অনলাইনের সরকারি লেস মেরে কাজ নিতে হয়। তবে এই ধরনের অভিযোগ আমার কাছে এখনও আসেনি। প্রশাসন চাইলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিক।
দেখুন আরও খবর-