ওয়েব ডেক্স: একসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) অধিনায়ক ছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি (Mansoor Ali Khan Pataudi) । তিনি নবাব পরিবারের সন্তান। শোনা যায়, তিনি নাকি ছিলেন খুবই রোম্যান্টিক মানুষ। তাঁর জীবনে ছিল প্রেম এবং সম্পর্কের একাধিক অধ্যায়। তবে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Thakur) সঙ্গে প্রেম ছাড়াও তাঁর জীবনে নাকি ছিল একাধিক নারীসঙ্গ। বহু বলি নায়িকার সঙ্গেই বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁর। আর তালিকায় অন্যতম একজন সিমি গারেওয়াল। দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গেই সম্পর্ক ছিলেন অভিনত্রীর।
সময়টা প্রায় ১৯৬০ বা ১৯৭০-এর দশকের শুরু। গভীর রাতের একটি ঘটনায় শেষ হয়ে যায় সিমি এবং মনসুরের সম্পর্ক। এক রাতে সিমি তাঁর ফ্ল্যাটে একা ছিলেন। কিন্তু আচমকাই তাঁর দরজায় টোকা পড়ল। আর দরজা খুলতেই সিমি দেখলেন যে মনসুর দাঁড়িয়ে আছেন। সিমির দিকে তাকিয়ে মনসুর বলেছিলেন, “ক্ষমা করে দিও, আমি শুধু একটি কথা বলার জন্য এসেছি।” মনসুর বলেন, “আমি অন্য কাউকে ভালোবাসছি।” এর উত্তরে সিমি, বিষয়টি শুনে, কোনও ধরনের উত্তেজনা বা বিরোধ প্রকাশ করেন নি। তিনি শুধুমাত্র শান্তভাবে মনসুরের কথা শুনেছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দিরা গান্ধী দুর্বল মহিলা ছিলেন’, ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তির আগে মন্তব্য কঙ্গনার
কোনও রকম অস্থিরতা না দেখিয়ে তিনি মন দিয়ে সে রাতে মনসুরের কথা শুনেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সম্পর্কটি আসলে শেষই হয়ে গেছে। সব কথা শুনে, সিমি মনসুরকে তার সঙ্গে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যান। কিন্তু মনসুর বারবার তাঁকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন। আর লিফটের দিকে যাওয়ার সময়, একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। সিমি যখন লিফটের দরজায় পৌঁছান, তখন হঠাৎই তিনি থমকে যান। কারণ সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। সে সময় তিনজনের মধ্যে একটি অদ্ভুত নীরবতা ছিল। ঠিক যেন সম্পর্কের এক অধ্যায় শেষ আর নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে।
তবে, এই ঘটনার পর, মনসুর কখনও সিমির দিকে ফিরে তাকাননি। পরবর্তী জীবনে তিনি শর্মিলাকে বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। পরে, সিমি গারেওয়াল ১৯৭০ সালে বিয়ে করেন রবি মোহনকে বিয়ে করেন কিন্তু সে সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আলাদা হয়ে যান তাঁরা।
দেখুন আরও খবর: