ওয়েবডেস্ক- দিল্লিতে (Delhi) বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলওয়ামা (Pulwama) যোগ! পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জইশ-ই- মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) যুক্ত থাকা উমর মহম্মদ (Umar Muhammad) । তদন্তে উঠে এসেছে যে হুন্ডাই i20 গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে, সেই গাড়িটি একাধিকবার কেনাবেচা হয়েছিল। এই গাড়িটি শেষবার বিক্রি করা হয় জম্মু-কাশ্মীরের তারিক নামে এক ব্যক্তির কাছে। এই তারিকের নাম সামনে আসতের তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও প্রবল হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার (Red Fort) সামনে মেট্রো স্টেশনের (Metro Station) সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, আহত ২৬। দেহগুলি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। একাধিক শহরে জারি করা হয়েছে হাই সিকিউরিটি। তদন্ত নেমেছে দিল্লি পুলিশ, এনআইএ ও এনএসজি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়িটি কেনাবেচার সময় জাল কাগজপত্রের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই উমর মহম্মদের মা ও ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে গাড়িটি লাল কেল্লার কাছে তিন ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, ড্রাইভার গাড়ি থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও বের হচ্ছিল না। সিগন্যাল লাল হতেই বিস্ফোরণ। ঠিক ৬.৫২ ট্রাফিক সিগন্যালের এগিয়ে আসতেই বিস্ফোরণটি হয়।
জম্মু-কাশ্মীরে ১৯৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জন্ম এই উমর মহম্মদের। ফরিদাবাদের (Faridabad) আল ফালাহ মেডিকেল কলেজের (Al Falah Medical College) একজন চিকিৎসক ছিলেন। উমর মহম্মদ হোয়াইট কলার” সন্ত্রাসী মডিউলের (white collar” terrorist module) সদস্য। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানার পুলিশ সোমবার হওয়া দুই চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথের এবং মুজাম্মিল শাকিলকে গ্রেফতার করে। উমর এই দুই চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে খবর। তদন্তকারীদের অনুমান যে উমর জানতে পারেন যে তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পরেই সে ফরিদাবাদ থেকে পালিয়ে যান। সূত্র বলছে তিনি “আতঙ্কিত” হয়ে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটিয়ছে।
আরও পড়ুন- দিল্লি বিস্ফোরণের জের, বন্ধ করা হল লালকেল্লা
উমর মুহাম্মদ এবং তার সহযোগীরা আক্রমণ চালানোর জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জ্বালানি তেল (ANFO) ব্যবহার করেছিল। গাড়িতে একটি ডেটোনেটর রেখে লাল কেল্লার কাছে একটি জনাকীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তদন্তে জানা গেছে, গাড়িটি একাধিকবার হাত বদল হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে গুরুগ্রামের বাসিন্দা সালমান গাড়িটি ওখলার দেবেন্দ্র নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছিলেন। পরবর্তীতে দেবেন্দ্র এটি আম্বালার এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। আম্বালা থেকে গাড়িটি পুলওয়ামায় পৌঁছায়, যেখানে আমির, তারিক এবং উমর রশিদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়। তদন্তে জানা যায় যে আমির গাড়িটি উমর মহাম্মদকে দিয়েছিলেন। আমির এবং তারিক উভয়কেই দিল্লি পুলিশের দল জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
দেখুন আরও খবর-







