কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court)। বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু এখনও অনেকেই মনে করেন, সঞ্জয়কে ফাঁসানো (Scapegoat) হয়েছে। বিশেষ করে তাঁর পাড়ার প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জয়ের আড়ালে আসল দোষীরা লুকিয়ে আছেন। আবার সিবিআই (CBI) সঞ্জয়কে অপরাধী প্রমাণ করার জন্য ১১ দফা প্রমাণ পেশ করেছে আদালতে। কিন্তু নিজের পাড়ায় কেমন মানুষ ছিলেন সঞ্জয় রায়? সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
সঞ্জয়ের বাড়ি কলকাতার (Kolkata) শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের ৫৫বি নম্বর বাড়িতে। বাড়িটির সামনে বজরংবলীর একটি ছবি রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সঞ্জয়ের মা মানসিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ছেলের এই জঘন্য অপরাধ তাঁকে মানসিকভাবে আরও দুর্বল করে তুলেছে। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত, তবে সঞ্জয়ের এই কাজের পিছনে অন্য কারও প্ররোচনা থাকতে পারে বলেও মনে করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘শুধু সঞ্জয় নয়, যুক্ত আরও অনেকেই’, বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
যদিও সঞ্জয়ের ব্যক্তিত্ব নিয়ে অনেকেই অনেক রকমের কথা বলছেন। তাঁর এক প্রতিবেশীর জানান, “সঞ্জয়কে যতটা খারাপ ভাবা হচ্ছে, ও ততটাও খারাপ নয়। তবে পুরোপুরি সৎ চরিত্রেরও নয়।” কেউ কেউ আবার বিশ্বাস করেন, সঞ্জয়কে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে। আর এক প্রতিবেশী জানান, “ছোটবেলা থেকে সঞ্জয়ের পরিবারকে দেখছি। তাঁর মা পুজো-অর্চনা নিয়ে থাকেন, আর তিন বোন কখনও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। কিন্তু খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে, যা এখনও প্রমাণ হয়নি।”
এদিকে আদালত সঞ্জয়কে দোষী ঘোষণা করার পর থেকেই সঞ্জয়ের বাড়ির পরিবেশ থমথমে। তাঁর এক জামাইবাবু জানান, তাঁর দীর্ঘদিন ধরে সঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ঘটনাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। অনেক প্রতিবেশীই মনে করেন, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে, কিন্তু তারা ধরা পড়েনি।
দেখুন আরও খবর: