ওয়েব ডেস্ক : যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Russia-Ukraine Conflict) মধ্যে। বরং এই সংঘর্ষ আরও বাড়ছে। ইউক্রেনের উপর ফের হামলা চালাল রাশিয়া। ১৪৫টি ঠিকানায় এই হামলা চালানো হয় বলে খবর। এর পাশাপাশি দোনেৎস্ক অঞ্চলের দুটি গ্রাম রাশিয়ার সেনারা দখল করেছে বলে খবর।
রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় এই হামলাগুলি চালানো হয়ছে। ইউক্রেনের (Ukraine) এমন সেনাঘাঁটিতে হামলাগুলি চালানো হয়েছে যেখানে ছিলেন বিদেশি সেনারা। অন্যদিকে গত সপ্তাহে ১৬০টি ড্রোন ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
মূলত, এই যুদ্ধ যাতে দ্রুত থেমে যায় তার জন্য আমেরিকা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসারকে জানিয়েছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত তিনি। তবে তার মাঝেই এই ধরণের হামলার ঘটনা সামনে এল। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হমকি দিয়ে বলেছেন, দ্রুত যদি এই যুদ্ধ না থামে, তাহলে রাশিয়ার উপর শুল্ক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে।
আরও খবর : গ্রেফতারের পরেই অসুস্থ শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট!
তবে শুধু রাশিয়া নয়, গত শনিবার রাতে কার্স্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। যার ফলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। এই হামলার পর ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগে গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল রাশিয়ার তরফে। তবে ঘটনায় কারোর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি। সেই সময় শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine conflict)। এই যুদ্ধের কারণে এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি যুদ্ধ থামানো নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিন ঘন্টা বৈঠকের পরেও এ নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। তবে ওই বৈঠকে পুতিন দাবি করেছিলেন, যুদ্ধ থামাতে হলে দোনেৎস্ক অঞ্চল ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে। তবে রাশিয়ার এই দাবি খারিজ করে ইউক্রেন। এর পরেই ইউক্রেনের দুটি গ্রাম রাশিয়া দখল করেছে বলে খবর সামনে এল।
দেখুন অন্য খবর :