কলকাতা: বিএলও-র (BLO- Booth Level Officer) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষকরা যাতে নিজ নিজ স্কুলে কোনও বাধার মুখে না পড়েন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) ও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে (Behrampur) বৈঠক করে উপনির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী স্পষ্ট বার্তা দেন, বিএলও হিসেবে নিযুক্ত কোনও শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন কমিটির কেউ যেন ‘বিরক্ত’ না করেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে।
একই সঙ্গে কমিশনের নির্দেশ, কোনও বিএলও কাজ ঠিকঠাক না করলে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে হবে। বুধবার কৃষ্ণনগর ও পরে বহরমপুরে জেলাশাসকসহ নির্বাচনী কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল ও অতিরিক্ত সিইও দিব্যেন্দু দাস।
আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ, ভাসবে কোন কোন জেলা? দেখুন বিগ আপডেট
কমিশন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপে অনেক শিক্ষক-বিএলও ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজে বাধার মুখে পড়ছেন। তাঁদের স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক ‘অনুপস্থিত’ বলে দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
রাজ্যে বর্তমানে এসআইআরের ফর্ম বিলি প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ। আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সার্ভার বিভ্রাট ও অ্যাপ-জনিত প্রযুক্তিগত সমস্যার কথাও ওঠে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উপনির্বাচন কমিশনার।
কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ছ’টা পর্যন্ত রাজ্যে ৭,৬৪,১১,০৮৩ অর্থাৎ ৯৯.৭% ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে সামান্য বেশি ২.২৬ লক্ষ ফর্ম। ইতিমধ্যে ১,৪১,২১,২০২ ফর্মের তথ্য ডিজিটাইজ করে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর:







