চণ্ডীগড়: এই মুহূর্তে একমাত্র আপ (AAP) শাসিত রাজ্য হল পঞ্জাব (Punjab)। দিল্লি বিধানসভা ভোটে (Delhi Assemble Election 2025) কেজরিওয়ালের (kejriwal) বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এমন কেজরিকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাঁকে চালর্স শোভরাজের সঙ্গে তুলনা করেন।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আপ। এবার দিল্লি ভোটের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পঞ্জাবের আপ সরকার (Punjab AAP Government)।
২০২৭ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যকে ক্লিন আপ করতে নামল পঞ্জাবের আপ সরকার। শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ক্লিন আপ’ (Operation Clean Up)।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে কুকর্ম! মহিলাদের স্নানের ভিডিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
বুধবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের (Punjab Chief Minister Bhagwant Mann) নির্দেশে ৫২ জন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত (Suspend Police) করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে।
ডিজিপি গৌরব যাদব এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল পদে ছিলেন। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যেও ‘শুদ্ধিকরণের’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত সোমবার মুখতার সাহিব জেলার ডেপুটি কমিশনার আইএএস অফিসার রাজেশ ত্রিপাঠিকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল পাঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যকে একটি “মডেল রাজ্য” হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Punjab Chief Minister Bhagwant Mane) মন্ত্রিসভায় বলেছেন, ২০২৭ সালের নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ডিজিপি যাদব জানিয়েছেন, প্রায় ৪০০ পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং আগামী দিনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের বিরোধী নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়ার অভিযোগ, আপ নেতারাও দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি পাঞ্জাবের রাজ্যপালের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাজওয়ার অভিযোগ, ” সরকারি কর্মচারীদের থেকে জোর করে দলীয় তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে,” যা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছি।
দেখুন অন্য খবর: