কালিয়াগঞ্জ: মহালয়ার (Mahalaya 2025) দিনে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এই বিশেষ দিনে সাধারণ মানুষ নদী বা জলাশয়ে ভিড় জমিয়ে পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে। রবিবার সকাল থেকেই কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীর ঘাটে পুরোহিতের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তিল ও জল প্রদান করা হয়।
মহালয়ার এই পূণ্যস্নান অন্যান্য দিনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। ধর্মমতে, দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার জন্য মর্ত্যে আগমন করেন। চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবীকে বরণ করে দুর্গাপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে। এই দিনের তর্পণ সাধারণ মানুষের কাছে আধ্যাত্মিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আধুনিকতার আবহেও মহালয়ার আবেগে পড়েনি ভাটা, সেই ছবিই ধরা পড়ল মসলন্দপুরে
নদীর দুই ঘাটকে গোবরডাঙ্গা পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছিল। এছাড়াও কোনও প্রকার দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর ঘাটে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “মহালয়ার দিনে নদীতে ভিড় জমানো আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়।” পুরোহিত পার্থ বাদরী জানান, “ভোরবেলা নদীতে তিল ও জল দিয়ে তর্পণ করলে আত্মার শান্তি হয় এবং পিতৃপক্ষ শেষ হয়।” মহালয়ার এই পূর্ণ দিবস কালিয়াগঞ্জে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও আধ্যাত্মিক উজ্জীবনের সঙ্গে উদযাপিত হল।
দেখুন আরও খবর: