ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা (Maheshtala) পৌরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর ঘরামি পাড়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, গত ৮ বছর আগে আসিয়া বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই এলাকার যুবক আকিল ঘরামির। এরপর তারা পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিবাহ করে। তবে বিয়ের বেশ কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। এরপরই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে।
মৃত গৃহবধূর আত্মীয় রেশমা বিবি বলেন, শাশুড়ি ও পরিবারের অনান্য সদস্যরা গৃহবধুর উপর অত্যাচার করত। সোমবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে গৃহবধুর পরিবারের লোকজনকে মীমাংসার জন্য ডাকা হয়। সেইসময় গৃহবধূর পরিবারের লোকেদের অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই রাতেই তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে। তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুড়বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন মেয়ের দেহ। পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই গৃহবধূকে।
আরও পড়ুন: বুধবারও থমথমে কালীগঞ্জ, ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলা থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রফতার করে পুলিশ। সেইসময় পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছে মৃত গৃহবধুর পরিবারের লোকজন।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গৃহবধুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানও হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মহেশতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছে মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর