ওয়েব ডেস্ক : ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (Year 2002 Voter List) নাম নেই নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সজল বিশ্বাসের! তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, সহ-সভাধিপতির নাম ২০১৪ সালের লিস্টে থাকলেও, সেখানে নেই তাঁর মা-বাবার নাম। বেশ কয়েক বছর আগে সজল বিশ্বাসের বাবা-মা প্রয়াত হয়েছেন জানা গিয়েছে।
আর এই খবর সামনে আসতেই বিজেপির (BJP) তরফে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই, তা সত্বেও এতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি নির্চিত হলেন কীভাবে? ত্রুটি মুক্ত ভোটার তালিকা হোক, শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দাবি গেরুয়া শিবিরের। তাদের দাবি, রাজনীতি করার আগে এদেশের ভোটার হতে হবে। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন, সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তাদেরকে এর আওতায় আসতে হবে। তবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বৈধ ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়লে আন্দোলন করা হবে। এদিকে ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়েছেন সজল বিশ্বাস। গোটা ঘটনাকে চক্রান্ত বলে অভিযোগ সহ সভাধিপতির।
আরও খবর : বিএলও-দের বিরুদ্ধে আরও কড়া হল নির্বাচন কমিশন! হতে পারে শাস্তি
অন্যদিকে SIR শুরু হতেই নতুন বিতর্ক সামনে এসেছে। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকে এমন এক বিএলও (BLO) কাজ করছেন, যাঁর নিজের নামই নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়! এমনকি খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর পরিবারের কারোর নামও। আর এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা রজনীকান্ত পালকে ঘিরে। তিনি কালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় ১৮৫ নম্বর বুথের বিএলও। কিন্তু তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই বলে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, বসয়ের কারণে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠে ২০১৪ সালে। তবে ২০০২ সালের তালিকায় তাঁর বাবা-মায়ের নাম কেন নেই? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর :







