বর্ধমান: বর্ধমানের (Bardhhaman) মাটিতে রাজনৈতিক তাপমাত্রা চরমে। বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ‘বদলও হবে, বদলাও হবে’ মন্তব্যের ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা পথে নামল পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhhaman) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মঙ্গলবার বর্ধমানে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ মিছিল ও জনসভা।
বড় নীলপুর মোড় থেকে শুরু হয় এই মিছিল, যা গিয়ে শেষ হয় কার্জন গেটে। সেখানেই তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া জবাব দেন জেলার নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী একদিন আগেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন, “রাজ্যজুড়ে চলছে তৃণমূল সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, আর SIR নিয়ে মিথ্যাচার।”
এর জবাবে এদিন তৃণমূলের নেতা ও বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “SIR নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যদি কারও নাম বাদ যায়, তৃণমূল চুপ করে থাকবে না। মিথ্যা প্রচারের জবাব পথে নেমেই দেওয়া হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার-সহ একাধিক বিধায়ক ও ব্লক নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, “বর্ধমানে আজকের মিছিলেই বিজেপির থেকে অন্তত দশগুণ বেশি কর্মী অংশ নিয়েছেন। মানুষের শক্তিই তৃণমূলের আসল জবাব।”
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তব্যে রাজ্য সরকারকে SIR ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে, “বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে রাজ্য।”
এরই জবাবে বর্ধমানের মঞ্চ থেকে সরাসরি পাল্টা সুর তুলল তৃণমূল — “ভোটের রাজনীতিতে বিভাজন নয়, উন্নয়নই আমাদের পথ।” কার্যত CAA ও SIR-কে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে যে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে, বর্ধমানের এই সভা সেই লড়াইকে আরও উস্কে দিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
দেখুন আরও খবর:







