ওয়েব ডেস্ক: সোমবার থেকে প্রয়াগরাজে (Prayagraj) শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে প্রায় দেড় কোটি পুণ্যার্থী স্নান সেরেছেন। আশা করা হচ্ছে এবছর মহাকুম্ভে প্রায় ৪৫ কোটি পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে সেখানে বিভিন্ন নামের সাধু-সন্তরা ভিড় জমিয়েছেন। তবে এবারের মহাকুম্ভে সবথেকে বেশি চর্চা হচ্ছে এক সন্ন্যাসিনীকে (Nun) ঘিরে। তাঁর সৌন্দর্যে মজেছেন নেটাগরিকরা। তিনি হলে সাধ্বী হর্ষা (Sadhvi Harsha)। কেউ বলছেন সংসারের মায়া ত্যাগ করে তিনি বেছে নিয়েছেন সাধ্বীর জীবন। আবার কারও মতে, হর্ষার পুরোটাই ঢং। আসলে সত্যিটা কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
View this post on Instagram
এবারের কুম্ভমেলায় ‘ভাইরাল’ হয়েছে সাধ্বী হর্ষার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও। যদিও আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) তিনি এক জনপ্রিয় মহিলা। আগে সঞ্চালিকার কাজ করতেন। বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ‘হোস্ট হর্ষা’ (Host Harsha) নামের একটি হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন নেট দুনিয়ায়। তবে তাঁর দাবি, বছর দু’য়েক আগে তিনি আচার্য মহামণ্ডলেশ্বরের কাছে দীক্ষা নিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের সঙ্গে জড়িয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমের আশ্চর্য ‘মিথ’!
দীক্ষা নেওয়ার পর থেকে হর্ষা সমাজকর্মী এবং ‘সনাতনী সিংহী’ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তবে এখনও সঞ্চালিকার কাজ করেন তিনি। কিন্তু মহাকুম্ভে তাঁর বেশভূষা দেখে সন্ন্যাসিনী বলেই মনে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীদের মনে জমেছে কৌতূহল। কেন এমনটা করেছেন হর্ষা? এর উত্তরে হর্ষা জানিয়েছেন, “আমার যা প্রয়োজন ছিল তা ছেড়ে দিয়ে এই পথ গ্রহণ করেছি। আমি অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য এক জন সাধ্বীর জীবন বেছে নিয়েছি।”
View this post on Instagram
গত দু’বছর ধরে সাধ্বীর মত জীবনযাপন করছেন হর্ষা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি নিজে। একটি সাক্ষাৎকারে হর্ষা জানান, “অভিনয়, অ্যাঙ্কারিং থেকে বিশ্ব ভ্রমণ— যখন আপনি জীবনে অনেক কিছু পেয়ে যাবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে এর মধ্যে কোনওটাই সত্যিকারের শান্তি আনে না। যখন ভক্তি আকর্ষণ করতে শুরু করে তখন জাগতিক সংযোগ থেকে দূরে সরে যেতে ইচ্ছে করে। নিজেকে প্রার্থনা, স্তোত্র এবং ঈশ্বরের ভক্তিতে সমর্পণ করতে ইচ্ছা করে।”
দেখুন আরও খবর: