ওয়েব ডেস্ক: পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুলিশের নজরদারির অভাবের কথা স্বীকার করল প্রশাসন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার (ADG Supratim Sarkar) জানান, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের কারখানার অনুমোদন থাকার কথা নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ১০ বছর ধরে এই কারখানা চালু ছিল। তদন্তের মাধ্যমে কারখানার লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়িতে মজুত থাকা বাজি থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। সেই সঙ্গে একটি গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। তবে বাজি বিস্ফোরণের পর সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে, নাকি সিলিন্ডারের আগুনে বাজিতে আগুন লেগেছে, তা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: নদীতে হাঁটু সমান জল, হাত দিলে উঠে আসছে কার্তুজ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এতদিন ধরে এই কারখানা কীভাবে চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২২ সালে কারখানার অন্যতম মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, কিন্তু জামিন পাওয়ার পর তিনি ফের ব্যবসা চালু করেন। পুলিশ কীভাবে এতদিন এই অবৈধ কারখানার বিষয়ে অবগত ছিল না, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
এডিজি সুপ্রতিম সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানা থাকা একেবারেই অনুচিত। এই ধরনের কারখানাগুলি যেন জনবসতি থেকে দূরে স্থাপিত হয়, সে বিষয়ে কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবে পুলিশ। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
দেখুন আরও খবর: