খড়দহ: খড়দহ (Khardah) বন্দিপুর পঞ্চায়েতের দোপেড় এলাকায় রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের চেষ্টা বড়সড় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযোগ, এলাকার প্রায় দু’ বিঘে পুকুরে জমি মাফিয়ারা ট্রাকভর্তি মাটি ফেলে ভরাটের কাজ শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই খড়দহের বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের জলাশয় দখল ও ভরাটের অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। সোমবার গভীর রাতে আবারও তেমনই চক্রান্তের খবর সামনে আসে। স্থানীয়রা প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে খবর দেন (District news)।
খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বন্দিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। তারা উপস্থিত হয়ে মাটি ফেলার জেসিবি ও একাধিক গাড়ি আটক করে দেন। সেই সঙ্গে অবিলম্বে বন্ধ করিয়ে দেন চলমান পুকুর ভরাটের কাজ। পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য,“জলা জমি ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতি করার কোনো অধিকার কারও নেই। আইন ভেঙে যারা এই কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে মাজদিয়ায় পদযাত্রা, অনুষ্ঠানমুখর এলাকা
ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকায় পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী ও খদ্দের দায়িত্বপ্রাপ্ত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং প্রকাশ্যেই রাহড়া থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রী পুলিশকে তীব্র ভাষায় ধমক দেন এবং প্রশ্ন তোলেন—কীভাবে এমন অবৈধ কার্যকলাপ রাতের পর রাত চলতে পারে পুলিশের চোখের সামনে?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জমি মাফিয়ারা দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে জলাশয় দখল করে বহুতল নির্মাণ কিংবা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। তবে মন্ত্রী ও পঞ্চায়েতের সক্রিয় ভূমিকায় আপাতত দোপেড় এলাকার পুকুরটি রক্ষা পেল বলেই মনে করছেন সবাই। প্রশাসনিকভাবে আরও কঠোর নজরদারি চেয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী।
দেখুন আরও খবর:







