Tuesday, August 5, 2025
HomeCurrent Newsচতুর্থ স্তম্ভ: রামজাদা হারামজাদা

চতুর্থ স্তম্ভ: রামজাদা হারামজাদা

Follow Us :

দেশ স্বাধীন হবার সাত দশক পরেও এখনও দারিদ্রসীমার নীচে ৬০% মানুষ, এখনও মানুষের মাথায় ছাদ নেই, পরনে কাপড় নেই, হাসপাতাল নেই, শিক্ষা নেই। সারাদেশেই নেই, তারমধ্যে উত্তরপ্রদেশ অন্যতম পিছিয়ে পড়া রাজ্য, হিসেব এই সরকারের নীতি আয়োগের। তো সেই নেই রাজ্যের বাসিন্দাদের এখন গণতান্ত্রিক উৎসব চলছে, রাজ্যে গণতন্ত্রের উৎসব চলছে। ভোট হচ্ছে সেই রাজ্যে, যা নাকি জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় অঞ্চল।

প্রথমে চিন, তারপরে ভারত, তারপর আমেরিকা, মালয়েশিয়া, আর পঞ্চমে উত্তরপ্রদেশ। প্রথম দুই পর্যায়ের নির্বাচন হয়ে গেছে, গড়ে ৬৩% ভোট পড়েছে। জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ইংল্যান্ডের জনসংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি এই নেই রাজ্যের বাসিন্দারা সক্কাল থেকে বুথে লাইন দিয়েছেন, হাতে একটা নয়, বাড়িতে যতগুলো আই ডি কার্ড ছিল, সবকটা সঙ্গে রেখে, কি জানি কোনটা না পসন্দ হয়, ভোট বলে কথা। তো এই বিরাট সংখ্যক মানুষ, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে কী মাথায় রেখে ভোট দিচ্ছেন? বা এদের ভোট চাইতে আসা হরেক কিসিমের রাজনৈতিক দল, কিসের ভিত্তিতে ভোট চাইছেন? মুদ্দা কেয়া হ্যায়? কিস মুদ্দে পে চুনাও হো রহা হ্যায়? বেকারি, বেরোজগারি, মাথার ওপরে ছাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মূল্যবৃদ্ধি, এগুলোই কি মুদ্দা? এগুলোই কি ইস্যু?

গত পাঁচ বছরে সরকার ফরমান জারি করেছে, যে গরু দুধ দেয় না, এঁড়ে গরু বিক্রি করা যাবে না, মারা যাবে না, গোমাতা বলে কথা। গেরস্থরা বাধ্য হয়ে সেই সব পশুদের ছেড়ে দিচ্ছেন, খেদিয়ে দিচ্ছেন, কঁহাতক আর বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো যায়, উত্তরপ্রদেশে এরাই আওয়ারা পশু, ছুট্টা ষাঁড়, কৃষকদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। রাতে লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা, যাদের পয়সা আছে তারা ৩/৪/৫ লাখের ঝটকা মেশিন কিনে লাগিয়েছেন, বেড়া দিয়েছেন, তাতে কারেন্ট বইছে, গোমাতা বা গোপিতারা এলে ঝটকা খেয়ে ফিরে যাবে, বা লাঠির ঘা। দিনে গোমাতার পুজো, রাতে লাঠির ঘা কিম্বা ঝটকা। এটাই কি ইস্যু?

কৃষকদের উন্নতির জন্য তিন কৃষি বিল আনা হয়েছিল, এক বছরেরও বেশি তারা রাস্তায় বসেছিলেন, লাঠি, টিয়ার গ্যাসের মুখোমুখি, ৭০০ জন মারা গেছেন, মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে তাদের ওপর, বিল ফেরত নিয়েছে সরকার, কিন্তু এটাই কী ইস্যু? নাগরিক আইন সংশোধন করা হয়েছে, এন আর সি হবে, সেটা কী ইস্যু? হওয়াতো উচিত ছিল, কিন্তু না, ধরাতলে এগুলো ইস্যু নয়, তাহলে ভোট হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে? ভোট চাইছেন কিসের ভিত্তিতে? ধর্ম আর জাত, জাত আর ধর্ম। আর কিচ্ছু নয়, কোনও ইস্যুতে নয়, ভোট হচ্ছে জাত আর ধর্মের ভিত্তিতে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ধর্ম আর জাতের কঠিন হিসেব কষেই, প্রার্থী নির্বাচন করেছে, সেই ভিত্তিতেই ভোট চাইছে। আরও মজার কথা হল মানুষও তার ভিত্তিতেই ভোট দিচ্ছেন, ব্যতিক্রম?

আছে। কিন্তু তা নেহাতই ব্যতিক্রম। দেশের বৃহত্তম রাজ্য, যেখানে ৪০৩ জন এম এল এ নির্বাচিত হবেন, যেখান থেকে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির সংসদে ৮০ জন সাংসদ যায়, সেই রাজ্যের নির্বাচনের ইস্যু হল ধর্ম আর জাত, এটাই বাস্তব, এটাই সত্যি। তাহলে আমরা যারা পত্রকার, সাংবাদিক তারা কিসের ভিত্তিতে হিসেব করছি? কে জিতবে? কে হারবে? ঐ ধর্ম আর জাতের ভিত্তিতেই, অন্য কোনও ভিত্তি নেই। হাঁ হাঁ করে তেড়ে আসবেন তথাকথিত শিক্ষিত, সেকুলার, বুদ্ধিজিবীর দল, তার মানে কি এত্তবড় কৃষক আন্দোলন, কোনও ইস্যুই নয়? তাদের বলি যদি স্রেফ কৃষক আন্দোলন ইস্যু হত, তাহলে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসেরই তো সবচেয়ে বেশি কৃষক ভোট পাবার কথা, পাচ্ছে না কেন? আসুন দেখা যাক পাচ্ছে কারা?

তাহলে সবচেয়ে বেশী কৃষক ভোট পাচ্ছে কারা? জাঠেরা, বিরাট কৃষক জনসংখ্যার মধ্যে যারা সবথেকে বেশি, যাদের নেতৃত্ব এই কৃষক আন্দোলনের মাথায়, সেই জাঠেদের দল, রাষ্ট্রীয় লোকদল এই ভোটের দাবিদার, সেটা মাথায় রেখেই আর এল ডি আর সমাজবাদী পার্টির জোট হয়েছে, সেই জোটই পশ্চিমাঞ্চলে সবথেকে বেশি আসন পাবে, তো এই জাঠেরা কাদের ভোট দিয়েছে ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ এ? বিজেপিকে। ২০১৯ এ, সি এস ডি এস এর পরিসংখ্যান বলছে, ৯১% জাঠ ভোট পড়েছিল বিজেপির বাক্সে। কেন? তাঁরা বিজেপির ইস্যুকে নিজেদের ইস্যু বলে মানতেন? সবকা সাথ সবকা বিকাশ, ইত্যাদি ইত্যাদি?

আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ:  কে এই বাবা? ইনি কার বাবা?

না, তাও নয়। ২০১৩ তে মজফফরপুরের দাঙ্গার পর ভয়ঙ্কর মুসলমান বিরোধী হয়ে ওঠা এই জাঠেরা, মুসলমান বিরোধিতার জন্যই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, মানে একটা জাতের ভোট পড়ল ধর্মের ভিত্তিতে। এবার? কেবল জাঠেরা ভোট দিলেই তাদের অনেকগুলো এম এল এ হয়ে যাবে? তাহলে আর এল ডি নিজেই লড়তে পারত, ৩৫/৪০ টা আসন নিয়ে কিং মেকার হত। কিন্তু তাঁরা জানেন তা হবার নয়, জাঠ ভোটের পরেও তাঁদের মুসলমান ভোট চাই, মুসলমান ভোট কোনদিকে? সমাজবাদী দলের দিকে? কেন? তাঁরা ভীষণ সেকুলার?

তাও নয়, কৃষ্ণের পূজারী যাদভদের দল বিজেপিকে হারাতে পারে, তাদের সেই ক্ষমতা আছে, তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে, তাই মুসলমান ভোট তাদের দিকে, কাজেই এস পি – আর এল ডি জোট হল। জাঠ, মুসলমান ভোট একতরফা গ্যালো তাদের দিকে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যেখানে জাঠেদের সংখ্যা তেমন নয়, বা যেখানে মুসলমানেদের জনসংখ্যা তেমন বেশি নয়, সেখানে কী হবে? সেখানে আছে জাঠভ ভোট, আছে যাদভ ভোট, আছে নন জাঠভ দলিত ভোট, আছে নন যাদভ ওবিসি ভোট। যাদের বিরাট অংশ বরাবর থেকেছে হয় সমাজবাদী দলের দিকে, নয় তো বি এস পির দিকে, গত ২০১৪ থেকে নন যাদভ ওবিসি ভোট এর বিরাট অংশ গিয়েছে বিজেপির দিকে, ২০১৯ তো ৮০% নন যাদভ ওবিসি ভোট পেয়েছে বিজেপি। আসুন বিষয় টাকে আর একটু বোঝা যাক, বিভিন্ন জাত আর তাদের চরিত্র, তাদের উপস্থিতি, তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, তাদের ধর্মের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ধর্মীয় জনসংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা যাক, যা আমাদের উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিকে বুঝতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ: কোকো লে গয়া

প্রথমে আসুন ধর্মের দিক থেকে বোঝা যাক, উত্তর প্রদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২০১১ র হিসেবে ৭৯.৭৩%, মুসলমান ১৯.২৬%। বুঝতেই পারছেন, যোগী মহারাজ কেন ৮০ – ২০ র কথা বলছিলেন। আর এস এস – বিজেপির বরাবরের এজেন্ডা, দেশকে হিন্দু আর মুসলমানে ভাগ করো, দেশের আর কোনও দলের এই এজেন্ডা নেই, ব্যতিক্রম আকালি দল, তাদের কথা পরে একদিন আলোচনা করা যাবে। বাকি কিছু শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন আছে বটে কিন্তু সে নগণ্য। এবার এই ৮০% হিন্দুদের মধ্যে বিভাজনটা দেখা যাক। ফরোয়ার্ড কাস্ট, মানে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় আর বৈশ্য বেনিয়াদের মোট ভোট ১৪.২%। কিন্তু প্রভাবে, প্রতিপত্তিতে, সম্পদের দিক থেকে এরাই এগিয়ে, কেবল এগিয়ে নয়, বিরাট এগিয়ে। এদের মধ্যে ব্রাহ্মণরা আগে কংগ্রেসকে সমর্থন করত, পরে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় আর বেনিয়ারা বিজেপির মধ্যেই, নিজেদের রাজনৈতিক সত্ত্বাকে খুঁজে পায়। দলিত প্রায় ২১%, এদের বেশিরভাগই ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে, কাঁশিরাম মাঠে নামার পর, এদের সবথেকে নীচু অংশ বলে যারা পরিচিত ছিল সেই চামার, গৌতম, রাইদাস, দুশিয়া, ভারতী, চন্দ্র রামদাসিয়া, রবিদাসিয়া ইত্যাদি হরিজনেররা বি এস পির কোর ভোটার হয়ে ওঠে।

৪০% আদার ব্যাকওয়ার্ড বলে চিহ্নিত যাদভদের দল, তাদের নেতা হয়ে ওঠেন সমাজবাদী দলের মুল্লায়ম সিং, তখনও লোধ, কুর্মি, মল্লা, নিষাদ ছিল কংগ্রেসের দিকেই, যারা পরে যোগ দেয় বিজেপিতে। কাঁশিরামের এক সামাজিক আন্দোলন ছিল, তিনি রাজনীতিতেও ঐ দলিত জাঠভদের জায়গা দেন, তাদের আন্দোলনে সঙ্গে ছিলেন, বর্ণ হিন্দু ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বেনিয়ারা বিজেপির স্বাভাবিক মিত্র, কারণ অবশ্যই তাদের মনুবাদী রাজনীতি। কিন্তু বাকিরা?
কাঁশিরামের আন্দোলনে সঙ্গে ছিলেন, বর্ণ হিন্দু ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বেনিয়ারা বিজেপির স্বাভাবিক মিত্র, কারণ অবশ্যই তাদের মনুবাদী রাজনীতি। কিন্তু বাকিরা?

আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ: খেলা হোবে, খদেড়া হোবে

বাকিরা তাদের জাতের নেতাদের দেখেই এদল ওদল করেছে, সমাজবাদী দল কংগ্রেসের সঙ্গে গেছে, যাদভরা সঙ্গে গেছে। বি এস পি বিজেপির সঙ্গে গেছে, জাঠভরা সঙ্গে গেছে। নিষাদ বা মৌর্য্য বা সাইনিদের নেতারা বিজেপিতে গেছে, তাদের জাতির ভোট সঙ্গে নিয়ে গেছে, কোনও ইস্যু নেই, তাদের নেতাদের মনে হয়েছে এই দলে গেলে হাতে ক্ষমতা পাবো, ব্যস তাঁরা গেছেন, জাতির লোকেরাও গেছেন। এই কারণেই একসময়ে কংগ্রেস ভোট পেত, তারা মুসলমান, দলিত, ব্রাহ্মণদের ভোট পেত, যখন সে ভোট পেল না, হেরে গ্যালো। যতদিন এম ওয়াই, মুসলিম যাদভ ওবিসি ভোট সমাজবাদি দল পেয়েছে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থেকেছে, আর এস এস – বিজেপি এটা মন দিয়েই দেখছিল, তারা খেলায় নেমেই এই বিরাট অংশের জাতদের, তাদের নেতাদের হিন্দু ছাতার তলায় আনার চেষ্টা শুরু করে, কারণ তারা পরিস্কার বুঝতে পারছিল, কেবল স্ববর্ণদের, ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ আর বেনিয়াদের ভোটে ৩৫/৪০ টার বেশি আসন পাওয়া যাবে না।

যাদেরকে উচ্চবর্ণের লোকজনরা, কুঁয়ো কিম্বা পুকুরের জলে হাত দিতে দিত না, মন্দিরে ঢুকতে দিত না, বিয়ের রীতি অনুযায়ী ঘোড়ায় চড়ে বর আসতো বটে, কিন্তু উঁচু জাতির পাড়ার মধ্যে তাদের ঘোড়া থেকে নেমে যেতে হত, যাদের বেগার খাটানো হত, সেই তাদেরকে বলা হল, তোমরাও হিন্দু, আমরাও হিন্দু, এসো হিন্দু ঐক্য গড়ে তুলি, আমাদের লড়তে হবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে, লড়তে হবে অহিন্দুদের বিরুদ্ধে। এমনটা তো এই প্রথম নয়, জাতের নামে এই বজ্জাতির বিরুদ্ধে যখন যখন মাথা তুলেছে নিচু জাত, বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, তখনই আবির্ভাব হয়েছে একদল প্যাসিফায়ার, একদল মানুষ তারা ঐ ডোম বিদ্রোহ, চুয়াড় বিদ্রোহ, ফকির বিদ্রোহকে থামাতে নেমেছেন, তাদের ভাতের সমস্যার সমাধান হয় নি, তাদের রোজগারের সমস্যার সমাধান হয় নি, কিন্তু কোথাও কোথাও তাদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে গেছে, তাদেরকে বোঝানো হয়েছে তুমিও হিন্দু, আমিও হিন্দু, এসো যবনদের বিরুদ্ধে লড়া যাক,

আজ সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, বিজেপি বলছে তুমি রামজাদা, তুমি রামের পুত্র, তুমি সনাতন হিন্দু আর ঐ দিকে আছে হারামজাদা, ঐদিকে আছে সেই সংখ্যালঘুর দল, যাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, এই হিন্দু ছাতার তলায় নিয়ে এসে তাদের শোষণ ব্যবস্থাকে বরকরার রাখতে, আরও স্থায়ী পাকাপোক্ত শোষণ ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় এই আর এস এস বিজেপি, তারা যতটা না মুসলমান বিরোধী, তারচেয়েও অনেক বেশি বিরোধী শুদ্র, দলিত, হরিজন, নমশুদ্র হিন্দুদের, যারা এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। চিহ্নিত করুন এই হিন্দু বিরোধীদের, বিজেপি কেবল সাম্প্রদায়িকই নয়, তারা হিন্দু সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরোধী, তারা এদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের শাসন আর শোষণকে বজায় রাখতে চায়, রামজাদা আর হারামজাদার ভাগ করে, আসলে নিজেদের আখের গোছাতে চায়, সেটা বুঝতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
RG Kar Incident | আরজি কর নি/র্যা/তিতার পরিবারের মামলা মুলতুবি, শুনানি কবে?
01:42:51
Video thumbnail
Trump-Modi | ট্রাম্পের হু/ম/কিই সার, রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ভারত! ট্রাম্প-মোদি সম্পর্কে ফাটল ধরবে?
02:46:16
Video thumbnail
Aadhar Update | ব্লক করা হল ১ কোটি আধার! কেন? দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
03:58:07
Video thumbnail
Bangla Bolche | TMC | 'ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়ে গেছে'
01:30
Video thumbnail
Bangla Bolche | CPM | 'বাংলা ভাষাকে অপমান বিজেপির সু-পরিকল্পিত'
01:41
Video thumbnail
Bangla Bolche | BJP | ভাষার আড়ালে কী চলছে?
03:16
Video thumbnail
Politics | ভালো লোক নীতীশকুমার পাপ্পু যাদব বললেন এবার
03:40
Video thumbnail
Politics | কর্ণাটকের মন্দির চত্বরে দে/হাংশ মিলল এইবারে
04:47
Video thumbnail
Russia | ৮৭-র প/রমা/ণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এল রাশিয়া! প/রমা/ণু যুদ্ধ কবে? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
07:07
Video thumbnail
Politics | রাষ্ট্রপতির আলাদা আলোচনা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা
05:23

Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39