গৌতম ভট্টাচার্য
আমার অভিজ্ঞতা বলে, সাংবাদিক চার রকমের।
এক, যারা পাকেচক্রে এই পেশায় এসে পড়েছে। পেশার কোনো প্রবেশিকা পরীক্ষা দাবি না করাটা যারা জীবনের সর্বোত্তম লটারিপ্রাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করে ধারাবাহিক খোস মেজাজে। এরা অনেকেই ট্যালেন্টেড। কিন্তু পেশাকে খুব ক্যাজুয়েলি নিয়ে জীবন এবং পেশা দুটোই হাসিমুখে চালানোয় প্রেস ক্লাবে রাতের পর রাত অতিবাহিত করতে পারে।
দুই , টিম প্লেয়ার। যারা ব্যক্তিগত স্টারডম অর্জনে না ঝুঁকে ডিপার্টমেন্টের জন্য নিত্য ফাইফরমাশ খাটতে রাজি থাকে। অন্যের লেখার চমৎকার হেডলাইন করে দেয়। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল খারাপ দেখলে দৌড়ে গিয়ে বলে। অন্যের অসুবিধে থাকলে নিজে একটা এক্সট্রা দিন নাইট করে দেয়। ডিপার্টমেন্টের ব্রেকিং নিউজ যাতে আগাম বাইরে না যায় তার জন্য খবর লিক হওয়ার সম্ভাব্য সব দরজাজানলায় দৌড়ে খিল দিয়ে দেয়।
তিন , যারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সকাল থেকে উঠে উদয়াস্ত কাজের মধ্যে থাকে। এরা আলুর দাম বাড়ল কি বাড়ল না-কে জীবনের কোনো সমস্যা বলে মনে করে না। কিন্তু স্টোরি মিস হলে এদের মুখ এত তেতো হয়ে যায় যে গ্যাসের ওষুধও তখন কাজ করে না। এরা রোজ নিজের পেশায় রান করে। তিরিশ-চল্লিশ – পঞ্চাশ। কখনো ষাট। যে কোনো এডিটর এদের আনুয়াল এসেসমেন্টে একটা শব্দ লেখে –নির্ভরযোগ্য।
চার , যারা পরিশ্রমী কিন্তু দৈনন্দিন যুদ্ধ জেতাকে এত গুরুত্ব দেয় না। এক একসময় ডিপার্টমেন্টে এদের দেখে মনে হতে পারে সিরিয়াস নয়। কিন্তু বড় যুদ্ধের আগে আচমকা এরা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। ওই বিশেষ দিনগুলোতে যখন তথাকথিত নির্ভরযোগ্যরা টেনশনে কাঁপছে ,তারা এসে এমন পারফর্ম করে দেয় যে গোটা অফিস এবং পাঠককুল চমৎকৃত হয়ে যায়। খেলার মাঠের ভাষায় , বিগ ম্যাচ প্লেয়ার।
প্লেয়ার যেমন দুটো শ্রেনীবিভাগে বিভক্ত থাকে। চাপের মুখে নড়বড়ে একটা শ্রেণী। চাপ সামলানোর দক্ষতা সম্পন্ন আর একটা শ্রেণী। সাংবাদিক ঠিক তাই।
রোজকার যুদ্ধ যে জেতে সে বছরের ওই বিশেষ দিনের আসল কভারেজ -যুদ্ধ জিতবে তার কোনো মানে নেই। বরঞ্চ বেশির ভাগ সময় উল্টোই হয়। এরকম কত বিস্ময়কর নমুনা যে দেখেছি দশ আঙুলে হিসেব হবে না।
অকালপ্রয়াত মানস চক্ৰৱৰ্তী যেমন । সাংবাদিকতা জগতে আমার প্রিয়তম বন্ধু। দুরন্ত রিপোর্টার। তা বলে নিউইয়র্কে রোববারের হাইভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচে কি মানসের একার ওপর পুরো কভারেজ ভার ছেড়ে দিতে পারতাম ? উত্তর ,না।
অথচ গড়পড়তা দিনের ম্যাচজেতানো রিপোর্টার। জীবনের শেষ দশ বছর মানসকে দেখলে বোঝার উপায় ছিল না টপ ফর্মে বিপক্ষ টিম নিয়ে ও কী পর্যায়ের ছেলেখেলা করতে পারত। দুটো ক্লাবের কর্তা, দুই কোচ, অগণিত তারকা প্লেয়াররা দীর্ঘ অনেক বছর যেন মানসে সম্মোহিত ছিলেন। সঙ্গে সমাজের কিছু বিশিষ্ট মানুষেরা। মনে রাখবেন তাঁদের নামগুলো যথেষ্ট ভারি। বুদ্ধদেব গুহ। সমরেশ মজুমদার। শঙ্খ ঘোষ। দেবেশ রায়। মান্না দে। পি কে ব্যানার্জি। চুনী গোস্বামী। ইন্দ্রানী সেন। সম্বরণ ব্যানার্জি। মাধবী মুখার্জি।
শেষের জনকে বছরদুয়েক আগে প্রেস ক্লাবের সংবর্ধনা সভায় মানস যা প্রশ্ন করেছিল তাতে আমার মনে হচ্ছিল চড়থাপ্পড় না খেয়ে যায়। অথচ মাধবী অসম্ভব স্নেহের সঙ্গে নম্রভাবে জবাব দিয়েছিলেন। আমার আজও ভাবতে গেলে বিভ্রম হয় ওটিটি সিরিজ দেখিনি তো ?
ওকে ম্যাজিসিয়ান বলাতে মানস হেসে বলেছিল , ” সাপুড়ে বলাটা বেটার। বিভিন্ন সাপের জন্য বিভিন্ন বাঁশি। অনেক ভেবে সুর ঠিক করতে হয় সাহেব । ” সেই হোমওয়ার্কের ছুটছাটকা শুনে বিস্ফারিত লেগেছিল। কিন্তু এত স্ট্র্যাটেজিক মাইন্ড থেকেও মানস কলকাতায় বসে কখনো ভালো মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ লিখতে পারেনি। বহু চেষ্টাতেও ওর লেখা গিয়ে নিত্যকার উৎকর্ষে পৌঁছত না।
একবার জ্যোতিষীর কাছেও গেছিল যে কেন এমন হয় যে আমি ডুরান্ড-রোভার্স -আশিয়ান কোথাও প্রব্লেমে পড়ছি না। কিন্তু সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ডার্বি ম্যাচ হ্যান্ডেল করতে পারি না। জ্যোতিষী পাথর-আংটি দিয়েছিলেন কিনা জানি না। তবে আংটি -পাথরের ব্যাপার না।
চাপ নিতে পারাটা আপনার মনের কলকব্জা গুলোর ওপর। হয় ওগুলো ওপর থেকে ফিটিং হয়ে এসেছে। অথবা হয়নি। যার নেই। তার নেই। যার আছে তার আছে।
১৯৮৩ জুন। এম জে আকবরের অধীনে ‘টেলিগ্রাফ ‘কাগজে চাকরি করি।মাত্র একবছর আগে চালু হওয়া ‘টেলিগ্রাফ’ তখন নব্য বাঙালির মুখে মুখে। যাকে বলে দ্য ইন থিং। কিন্তু আমার বদলির ছাড়পত্র এসে গিয়েছে আনন্দবাজার নামক স্বর্ণ উপত্যকায়। নিচে কিছু একটা কাজ সেরে লিফটে উঠতে যাচ্ছি। সেই লিফ্ট থেকে বেরোলেন মতি নন্দী ও রূপক সাহা।
ওঁরা যাচ্ছিলেন সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে বাংলা -গোয়া ম্যাচ কভার করতে। দু’দিন ধরে ম্যাচ চলেছিল। আমার সঙ্গে দেখা প্রথম দিনের ফাইনালের আগে। তখন পেশা সম্পর্কে কোনো ধারণা জন্মায়নি। ফ্যান বয়ের মতো দেখি এঁদের। আর রোমাঞ্চিত হয়ে গেছিলাম ওদের শরীরী ভাষায়। যেন মনে হচ্ছিল তখনকার দিনের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক জুড়ি ডেসমন্ড হেইনস আর গর্ডন গ্রিনিজ ব্যাট করতে যাচ্ছে। আজও অবাক হয়ে ভাবি ওই হাঁটা থেকে কিভাবে ঠিকরে বেরোচ্ছিল দু’জনের প্রাক ম্যাচ মনন। বিপক্ষ কাগজ তো প্রেস বক্সে ওটা দেখলেই ভিরমি খাবে।
সত্তরের দশকে অবিস্মরণীয় কিছু ডার্বি ম্যাচ লিখেছেন মতি নন্দী। অদ্ভুত টেকনিক ছিল ওঁর। ম্যাচ দেখে প্রেস ক্লাবে মদ খেতে যেতেন। তারপর রাত ন’টা নাগাদ অফিস ফিরে লিখতে বসা। আমার শুরুতে মনে হয়েছিল ঠিক উল্টোটাই তো হওয়া উচিত যে লেখা শেষ করে শান্তিতে গ্লাস নিয়ে বসলাম। মাঝে লম্বা ব্রেক নিলে চিন্তাটাই ঘেঁটে যাবে।
কিন্তু এই মননে দিনমজুর পেশাদার ভাবে। শিল্পীর দর্শন অন্য। সে চায় বিষয়ের সঙ্গে সমর্পণ। মনকে জমির ওপর উত্তোলন । তারপর সেই মনে লাফ দিয়ে উঠে দোয়াত ডুবিয়ে লিখতে বসা।
ক্রীড়া সাংবাদিকতায় পা না দিয়েও লিফ্ট থেকে বেরোনো দুই মূর্তির অবয়ব সেদিন আমাকে নীরব একটা পাঠ দিয়েছিল ,মনকে যদি তাগড়া করতে না পার ,এটা তোমার দুনিয়া না।
পরবর্তীকালে বারবার মনে হয়েছে যে সাংবাদিকতার জগতও কোনো কোনো দিন আচমকা কিচমিচ চিৎকারে ভর্তি স্টেডিয়াম। অনেকগুলো মুখ তোমার পারফরমেন্স দেখার জন্য আগ্রহভরে তাকিয়ে । দেখতে চায় মহাভারতের যুদ্ধ কত নিখুঁতভাবে বর্ণনায় ফুটিয়ে তুলতে পারছ ? যদি সেই চাপ না নিতে পারো চাকরি যাবে না। রুটিডাল খেয়ে ঠিক বেঁচে যাবে। কিন্তু ম্যাচউইনারের সম্মান কখনো পাবে না নিজের টিমের কাছে। নিউজরুমে কোনো সপ্রশংস চোখ নীরব বার্তা দেবে না যে কী করেছ !
নিউজরুম যে জানে রিয়াল টাফ দিনগুলোতে এমন পর্যায়ের টেনশন ধিকিধিকি ধেয়ে আসে যে গ্র্যানাইট কঠিন মন ছাড়া সেই উত্তাল আসিডস্রোত সামলানো সম্ভব নয়।
আমেদাবাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল যেমন। ম্যাচের আগেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম চত্বরে যে দৃশ্যকল্প তৈরি হচ্ছিল তা মাস আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির ঘিরে উদ্দীপনার যেন এভি। এতগুলো দশক ধরে ভারত-পাক ম্যাচ কভার করছি। এই দুটো টিম বিশ্বের মোট বারোটা দেশে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। আমি তার মধ্যে আটটা দেশে কভার করেছি। ভারত ঘিরে উদ্দীপনা। সমর্থকদের অভিনবত্ব। নানানরঙা অভিনবত্ব সামলাতে জানি। কিন্তু এখানে তো যেন একরকম হিন্দু ভারতের আগাম জয়ের সেলিব্রেশন চলছে ? গেরুয়া পরে দলে দলে তরুণতরুণীরা এস্যুভিতে ঢুকছে আর গাইছে বন্দে মাতরম। নীল জার্সির ওপরে সব গেরুয়া জড়ানো। এরা ক্রিকেটের দূত ? না রাজনীতির ?
তাজ্জব লেগেছিল নতুন ঘরানার ভারতীয় সমর্থকদের এমন আবেগ দেখে ? নাকি এটা নিছক আমেদাবাদ – জাত ? অন্য কোনো মাঠে এমন উচকৎ পর্যায়ে হাজির হত না ?কী করে সামলাব খেলার মাঠে নতুনরঙা বহিঃপ্রকাশকে ? বেশ সমস্যা হয়েছিল।
আশির দশকের শারজা যেমন। শুক্রবারের ভারত-পাক ম্যাচ মানে যুদ্ধ। সকাল থেকে সাজ সাজ রব। যা একই হোটেলে থেকে আরো বেশি চোখে পড়ছে। সমর্থকদের ভিড় লবি জুড়ে। মাঠে যাওয়ার মুখে মসজিদগুলো থেকে ভেসে আসছে আজান। আর গ্যালারির ওই হিমশীতল চিৎকার জিবে জিবে পাকিস্তান। ছোট মাঠ আর নিচু গ্যালারি বলে সব কিছু কাছাকাছি। অন উওর ফেস। পাকিস্তান বল করা মানে একে একে ইমরান ,আক্রম আর ওয়াকার। এমন পরিবেশ তৈরি হয় যেন বাইশ গজটা ব্যাটসম্যানের মৃত্যুনগরী। এক একটা ভারতীয় উইকেট পড়লে যেমন চিৎকার হয় তার পাশে করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামও শিশু। ইডেনের চিৎকার এ আরো অনেক বেশি লোকের। কিন্তু ওটা ক্রিকেটীয়। শারজাটার কোথাও গিয়ে যেন ধর্মীয় মেক্সিকান ওয়েব ছিল আর তাই মনকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিত। পরে অবশ্য সিস্টেমে ওটাকে ঢুকিয়ে নিয়েছিলাম। নইলে আত্মরক্ষা করা যেত না।
নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে উপমহাদেশীয় সাংবাদিকেরা রোববার ঢুকবেন তাঁদের অবশ্য মন শুধু ফিট থাকলেই হবে না শরীরও ম্যাচোপোযুক্ত থাকা চাই। আইএসআইএস হুমকি ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তাকে এমন নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়েছে যে সংগঠকেরা যদি মিডিয়া বাসের ব্যবস্থা না করে থাকেন , তাহলে এক একজনকে অন্তত তিন কিলোমিটার হাঁটতে হবে। ম্যাচ রিপোর্ট পরে করবেন। আগে তো ক্যামেরা আর ল্যাপেল নিয়ে ঠিকঠাক ঢোকা। যদি আইসিসি শাটল এনেও দেয় ,মাঠের কোনো দিকে ঢুকতে যে দেওয়া হবে না গ্যারান্টি। মিডিয়া তো কী আইএসআইএস উড়ো হুমকিতেওঁ মার্কিন প্রশাসন কোনোভাবে ঝুঁকি নেবে না।
দুটো টিমের প্র্যাকটিস কভারেজ পরে। রিপোর্টারকে আগে ছুটতে হবে উইকেট ঠিকঠাক করার ফ্রেশ উদ্যোগ নিয়ে খবর জোগাড়ে। বোঝাই যাচ্ছে ড্রপ ইন পিচ বসাবার পর যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়নি বলে ব্যাপারটা কেলেঙ্কারির দিকে এগোচ্ছে। এবার আইসিসি যেভাবে সেটা সামলাতে চাইছে তাতে তারা সফল হলে অবশ্যই স্টোরি। কিন্তু যদি না হয় আরও বড় বিতর্ক। ভারত-পাক ম্যাচের ইতিহাসে এই প্রথম উইকেট কিনা দুটো টিমের তারকাদের পেছনে ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং।
পাকিস্তান টিমকেও চোখে চোখে রাখতে হবে কভারেজে থাকা সাংবাদিকের । রোববার হেরে গেলে তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার জোরদার আশংকা তৈরি হতে পারে। কোথায় উগ্র সমর্থক বা উত্তেজিত প্রবাসী ফ্যান লুকিয়ে আছে কে জানে ? আজকের যুগে একটা ছোট ভিডিওই ম্যাচের পুরো স্রোতকে অন্যমুখী করে দিতে পারে।
নতুন মাঠে রোহিত শর্মার ভারতই বা কী করে মানাবে ? দু’জনের সেদিনই চোট লেগেছিল। রোববার ? স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দেশে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে গিয়ে যুদ্ধের এত বড় চাপের মধ্যে টিমকে ফেলে দেওয়া কি অন্যায় মনে হচ্ছে না তাদের ভেতরে ভেতরে ? গ্যারি কার্স্টেন এবার পাকিস্তানের নতুন গুরু। তিনি কিন্তু ভারতীয়দের খোঁচখাচ সব জানেন। একরাত্তিরে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া সৌরভ নেত্রাভালকার নামক আমেরিকান পেসার সুপার ওভারে ক্রস সিম ডেলিভারি করবে কিনা আন্দাজ করতে পারেননি। কম্পিউটারজি নিশ্চয়ই ডেটার অভাবে যথেষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে পারেনি।
কিন্তু এখানে তো ডেটাই ডেটা। সব কিছু জানা। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন —কীভাবে তৈরি হয়ে এসেছে রোববারের পাকিস্তান ? খোঁচা খাওয়া বাঘ ? না তাড়া খাওয়া নেংটি বেড়াল ?
সাংবাদিককে গোড়ালির ওপর থাকতে হবে। এই এদিকে গেল তো চল নতুন খবর ওদিকে ইন্টারেস্ট ঘুরিয়ে দিল। ভারত-পাক মানে স্নায়ু এক মুহূর্তের জন্যও ঢিলে করা যায় না।
স্বস্তিতে আছি যে ষ্টুডিও থেকে করা কমেন্ট্রিতেই আমার সীমান্ত যুদ্ধের সময়টা কাটবে।