Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeBig newsকারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৪৯)

কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৪৯)

জাস্টিস ফর কলকাতা টিভি, জাস্টিস ফর কৌস্তুভ রায়

Follow Us :

সাতসকালে প্রায় সমস্ত খবরের কাগজে আজ ছাপা হয়েছে খবরটা, অনেকেরই চোখে পড়েছে, আমরা আজ সেই খবর দিয়েই আলোচনা শুরু করছি। খবরটা হল সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর মালিক সুদীপ্ত সেনের জামিন হয়েছে, মানে আদালত তাঁকে সিবিআই-এর সমস্ত মামলাগুলোয় জামিন দিয়েছে। বিচারক বলেছেন, ২০১৪ সালে এই সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও পর্যন্ত একটা মামলার ক্ষেত্রেও সিবিআই চার্জশিট দিতে পারেনি, একজনকে এভাবে জেলে আটকে রাখা যায় না, তাই এনাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা অন্য বিষয় যে রাজ্য সরকারের দায়ের করা আরও কিছু মামলা আছে যেগুলোতে জামিন পাওয়ার পরেই তিনি সত্যিই জেল থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। এখন সুদীপ্ত সেন চুরি করেছেন কিনা? লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন কি না, লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা মেরে দিয়েছেন কি না তা তো আদালত বিচার করবে। আমরা এই জামিনের ঘটনা থেকে অন্তত এটা সাফ বুঝতে পারছি যে সিবিআই নামক সংস্থাটি বছরের পর বছর এরকম অশ্বডিম্বই পেড়ে চলেছে। এই সিবিআই কর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ছাপা হয়েছে কাগজের প্রথম পাতায়, তখন এক থেকে সাত পাতা জুড়ে কেবল সারদা কর্তার বিশাল চুরির খবর।

ক’দিন আগেও যে খবরের কাগজে, টিভি চ্যানেলে এই সারদা কোম্পানির কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন চলেছিল, ছাপা হয়েছিল, তাঁরা সেই পাপের কামাই ভোগ করেছিলেন, এবং আজও হলফ করে বলতে পারি ওই টাকা যে খুব সৎ উপায়ে অর্জন হয়নি একথা সব্বাই জানতেন। জানতেন কিন্তু বিজ্ঞাপন নিয়েছেন, জানতেন কিন্তু একটা কথাও বলেননি, জানতেন কিন্তু ওই কর্তার এবং কোম্পানির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি ছেপেছেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এবং তারপর হঠাৎ সেই মানুষটা ভিলেন হয়ে গেছেন, শাসকদল তৃণমূল থেকে প্রতিটা রাজনৈতিক দলে ওনার কৃপাধন্যরা ছিলেন, সব্বাই জানিয়ে দিলেন আমরা কিছুই জানি না। সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে ওই ব্যাটাকেই ধর বলে জেলে পোরা হল সুদীপ্ত সেন, রগরগে কেচ্ছা, প্রেমকাহিনি ছাপা হল। আজ দেখা গেল তদন্তকারী সংস্থা এখনও সেই দুর্ধর্ষ দুশমনকে চার্জশিটই দিতে পারল না। চার্জশিট মানে কী? মানে হল সেই দলিল যাতে বলা হবে এই এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনাকে এই এই অপরাধ করার জন্য অপরাধী সাব্যস্ত করা হল, হুজুর এই জঘন্য অপরাধীকে শাস্তি দিন। তারপর তো হুজুর বিচার করবেন, অভিযুক্ত তার পক্ষের কথা বলবে, সাক্ষীরা আসবেন, জেরা হবে, প্রমাণ নিয়ে আলোচনা হবে। সেসব তো যোজন মাইল দূরে, চার্জশিটই দিয়ে উঠতে পারেনি সিবিআই, অথচ সেই মানুষটি ২০১৪ থেকে গগন কাঁপানো সারদা মামলার মূল অভিযুক্ত। এবং এটাই চলছে, এটাই হল সেই পদ্ধতি যা দিয়ে একজনের অপরাধ প্রমাণ করার আগেই তাকে জেলে পচিয়ে মারা যায়। এটা সিবিআই বা ইডির অপদার্থতা বলে ভাববেন না, এত অপদার্থ তাঁরা নন, এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদ্ধতি, যা দিয়ে মানুষকে হ্যারাস করা হত। এখন সেই একই অস্ত্র দিয়ে আরএসএস–বিজেপির বিরুদ্ধে সরব যে কোনও মানুষকে বছরের পর বছর জেলে রাখা যায়।

আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৪৮)

আমাদের সম্পাদক বিচারককে ঠিক এই কথাই বলেছেন, হুজুর আমি দোষী হলে আমাকে শাস্তি দিন, কিন্তু তা যদি না প্রমাণ হয় তাহলে যার বা যাদের ষড়যন্ত্রে আমাকে এতদিন জেলে থাকতে হল, তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। ঠিক তাই আমরা আমাদের সম্পাদকের মুক্তি চাইছি না, জামিনও চাইছি না, চাইছি জাস্টিস, জাস্টিস ফর অল সিটিজেন, জাস্টিস ফর ফোর্থ পিলার অফ দ্য স্টেট, জাস্টিস ফর কলকাতা টিভি, জাস্টিস ফর কৌস্তুভ রায়।

দেখুন ভিডিও:

RELATED ARTICLES

Most Popular