নয়াদিল্লি: বিশ্বমঞ্চে যাঁরা একসময় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন, আজ প্রতিবাদ জানানোয় পুলিশের হাতে কার্যত মার খাচ্ছেন তাঁরাই। আর সব জেনে শুনেও মহাত্মা গান্ধীর তিন বাঁদরের নীতি মেনে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে ব্যস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কুস্তিগিরদের সঙ্গে এ হেন আচরণে সবর হয়েছেন জ্যাভলিন তারকা নীরজ চোপড়া, ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী সহ প্রখ্যাত ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা। যদিও তাতে খুব একটা মাথা ব্যথা নেই প্রশাসনের। ওপর মহলের অর্ডার যা আসবে পুলিশ তো তাই মানবে!
নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের পর সেখানেই দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৮ মে দিনটি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই দিনটি। সত্যিই তো সাধারণ মানুষ সব মনে রাখেন। আর তাঁদের কাছে নতুন সংসদ ভবন কতটা মাইনে রাখে তা প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন। তবে একই দিনে ভারতের আরও একটি দিক দেখল বিশ্ববাসী। সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া,ভিনেশ ফোগাটদের মতো সোনার ছেলে-মেয়েদের টানতে টানতে প্রিজন ভ্যানে তুলছে পুলিশ। আর ভারতের পতাকা তখনও তাঁদের হাতে রয়েছে। সেই ‘নয়া ভারত’-এর নতুন রুপটাও দেখে নিল বিশ্ব।
আরও পড়ুন: Weather Update| IPL 2023 Final | রবিবারের পর সোমবারেও কি ভেস্তে যেতে বসেছে আইপিএল ফাইনাল?
কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর গ্রেফতারি দূরে থাক। এখনও পর্যন্ত বিজেপির এই সাংসদকে একবারও তলব করেনি দিল্লি পুলিশ। যন্তরমন্তরে কুস্তিগিরদের ধরনা চলছিল ফেডারেশনের সভাপতিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে। রবিবার যন্তরমন্তর থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আক্রষর্ণ করতে রওনা দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। তবে তাঁদের সঙ্গে কি আচরণ করেছে তা ইতিমধ্যে ভাইরাল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২৮ মে দিনটার কথা সবাই মনে রাখবে, ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। সত্যিই এই দিনটার কথা সবাই মনে রাখবে, তবে তা মনে রাখা হবে কালাদিবস হিসেবে। ভবিষ্যতে যাঁরা দেশের হয়ে পদক জেতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরাও হয়তো বুঝে গিয়েছেন পদক জেতার পর শুধুই সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আর বিপদে পড়লে ঘুরে তাকাবেন না তিনি।