কলকাতা: সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। শনিবার তৃণমূলের তরফে কমিশনে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা,দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানায় তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দেশিকা দিক কমিশন।
তৃণমূলে অভিযোগ, ভোটের দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বারবার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করা হলেও কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুক্রবার বাংলার তিন লোকসভা আসনে ভোট চলছিল। তখন নির্লজ্জভাবে সিবিআই সন্দেশখালির ফাঁকা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। কিন্তু, সিবিআই রাজ্য সরকার কিংবা পুলিশকে না জানিয়ে এই হানা দিয়েছে। বরং পুলিশকে জানানো হলে তাদের যে বম্ব স্কোয়াড রয়েছে, তা ওই অভিযানে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু সে সব কিছু করা হয়নি। পুলিশের কোনও সহায়তা চাওয়া হয়নি। শাসকদলের দাবি, সিবিআই অভিযানের খবর আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে ছিল। এ ব্যাপারে তাদের জানানো হয়েছে, কিন্তু রাজ্যকে অভিযানের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে দিনভর তল্লাশি, গুলি-বন্দুক, উদ্ধার শাহজাহানের নথিপত্র
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই (CBI)। পরে অভিযানে নামে এনএসজি(NSG)। চালিয়ে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে পুলিশের পিস্তল। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে কার্তুজ, দেশি বোমা। সিবিআইয়ের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, অস্ত্রের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে কিছু নথিও। যেখানে শেখ শাহজাহানের সচিত্র পরিচয়পত্রও মিলেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মাটি খুঁড়ে চলে তল্লাশি। ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র-বোমা। বাড়ির মেঝে খুঁড়ে একটি বস্তা, বেআইনি অস্ত্র ও বোমা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ওই বাড়ি থেকে পাঁচশো কিলোমিটার দূরে আরও একটি বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বোমা খোঁজার জন্য বিশেষ স্ক্যানারও নিয়ে আসা হয়। পরে নামানো হয় এনএসজি। বিস্ফোরকের সন্ধানে রোবট ও স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ৭টি স্মল আর্মস। ৭টির মধ্যে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বাকি দেশি পিস্তল। ২২৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত বোমা দেশি বলে দাবি করে সিবিআই।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: