কলকাতা: তিনি একাধারে কবি, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার ও সুরকার, নাট্যকার এবং দার্শনিক- তিনি বিশ্বকবি, কেবল দেশ নয় এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। হাসি হোক বা কান্না, রাগ হোক বা দুঃখ প্রতিনিয়ত সব আবেগে তাঁর সৃষ্টি আমাদের চলার পথের সঙ্গী। আজ বুধবার, বিশ্বকবির ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। রবি ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথ এবং গুলজারকে এক সূত্রে বাঁধলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী জুটি সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ (Sourendro-Soumyojit)।
একশো বছর পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা কবিতার হাত ধরে। এক শতাব্দী আগে গুরুদেব জানতে চেয়েছিলেন এক শতাব্দী পর কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। তাঁর সৃষ্টির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে তাঁর নিজের রচনায় কোনও এক কল্পলোকের কবির উদ্দেশ্যে রেখে গিয়েছিলেন এই কবিতা। আর বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী জুটি সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের শৈল্পিক নির্মাণে এক সূত্রে বাঁধা পড়লেন রবীন্দ্রনাথ এবং গুলজার। শতাব্দী পরে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার উত্তর দিলেন বিশিষ্ট কবি-গীতিকার গুলজার (Gulzar)। প্রকাশ পেল বিশেষ ভিডিও সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। উপরি পাওনা রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: মেট গালায় মোহময়ী আলিয়া, মুগ্ধ নেটপাড়া
কীভাবে এই চিন্তা মাথায় আসে? সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় একটি অজানা মুম্বইয়ের নম্বর থেকে ফোন আসে এবং কলের অপর প্রান্তে একটা ব্যারিটোন ভয়েস ছিল যিনি আমাদের কাজের খোঁজ রাখেন। কন্ঠস্বর বুঝতে ভুল হয়নি, উঁনি ছিলেন গুলজার সাহেব। একসঙ্গে কিছু তৈরি করতে পারি কিনা এমন একটা খোলা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা যা তিনি শতবর্ষ পরে কোনও এক কল্পলোকের কবিকে উদ্দেশ্য করে লিখে গেছেন, যে একশো বছর পরে কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। আমরা ঠিক করেছিলাম গুরুদেব তাঁর রেখে যাওয়া এই প্রশ্নের উত্তর যেন খুঁজে পান গুলজার সাহেবের লেখায়। সেই মোতাবেক গুলজার সাহেবেকে অনুরোধের ফসল স্বরূপ জন্ম নেয় একটা নতুন কবিতা। যা তিনি নিজেই পাঠ করেছেন ২৫ বৈশাখে আমাদের বিশেষ নিবেদনের ভিডিওতে। ভিডিওটিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথের কন্ঠের নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক যেন দুই কবির হঠাৎ দেখা কবিতার পথ ধরে।
আরও খবর দেখুন