বহরমপুর: ফের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) আক্রমণ কতৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee)। বুধবার বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের (TMC Candidate Yusuf Pathan) সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে অধীরকে কড়া ভাষার বিঁধলেন অভিষেক। তিনি বলেন, বহরমপুরে আমাদের লড়াই বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। কিন্তু ওই দলেরই ডামি প্রার্থী, যিনি বিজেপির এজেন্টও, তাঁর বিরুদ্ধেও লড়াই করব আমরা। এদিন নাম না করে অধীরকে এক হাত নেন অভিষেক।
তিনি আরও বলেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এখানকার কংগ্রেস সাংসদ এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ বা কোনও প্রতিবাদও করেননি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে এবং বিজেপির হাতকে শক্তিশালী করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে যখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য বৈঠক করছিলেন, তখন অধীর বাংলায় তৃণমূলকে আক্রান্ত করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রে মোদি, তৃণমূলের সাংসদরা যাবে জেলে, হুঙ্কার সুকান্তর
এদিন বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ভাঙার মূল কারণ হিসেবে অধীরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলায় আসন ভাগাভাগি হোক। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম। এমনকী তাঁদের একজন বর্ষীয়ান নেতার কাছে সমস্ত প্রমাণ পাঠিয়েছিলাম যে, কীভাবে অধীর বাংলায় বিজেপিকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করছেন। ওই নেতাও আমাকে বলেছিলন, আমি বারবার তাঁকে সতর্কও করেছি যে, বিজেপির লাইনে না পড়ে বরং আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কিন্তু অধীর আমার কথা শোনেনি বলে জানিয়েছিলেন ওই নেতা। রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর মতো নেতাদের ইডি-সিবিআই তলব করছে, কিন্তু অধীরকে ডাকা হচ্ছে না। কারণ অধীর বিজেপির এজেন্ট। ভোটের ফলাফল বের হলে অধীর তৃতীয় স্থানে থাকবেন বলেও দাবি করেন অভিষেক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন নির্বাচনী প্রচারে অধীরের উদ্দেশে অভিষেকের এই আক্রমণ বেশ কড়া। বলা যায় অধীরের গড়ে অভিষেকের গর্জন অনেকটাই প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।