skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
HomeআজকেAajke | রাজভবন, মিঃ আনন্দ বোস এবং ধর্ষণের অভিযোগ
Aajke

Aajke | রাজভবন, মিঃ আনন্দ বোস এবং ধর্ষণের অভিযোগ

বিজেপির এক নেতা বলছিলেন, সময় খারাপ যাচ্ছে

Follow Us :

এ লোডাই লোডবো লোডবো লোডবো বলে এক তেজোদ্দীপ্ত ভাষণ দিয়ে আমাদের রাজ্যের রাজ্যপাল কিন্তু সেই রাতেই চলে গিয়েছেন কেরালা। কী হয়েছিল? রাজভবনের এক মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাজভবনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? এক নির্দোষ মানুষের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসলে কেমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে? যদি আবার সেই মানুষ একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, বা এক রাজ্যপাল হন? ভালো, একজন অভিযোগ করেছেন, পুলিশ আসুন, তদন্ত করুন, তদন্ত থেকে যা বেরিয়ে আসবে তাই মেনে নেব। আমি এই পদে থাকলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে, তাই আমি এই পদ থেকে সরে দাড়াঁচ্ছি, সেই মর্মে আমি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছি। এটা বলার পরেই রাজ্যের ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে এক ঝটকায় সত্যিটা এসে যেত, বাকিটা তদন্তের পরে। কিন্তু আমাদের আনন্দবাবু কী করলেন, পুলিশের রাজভবনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। তারপর জানালেন রাজ্যের এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে রাজভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখানেই শেষ নয়, এটা নাকি সরকারে থাকা দল তাদের নির্বাচনী ফায়দার জন্য করিয়েছে, উনি সত্য দেখে ছাড়বেন, লোডাই করবো, লোডাই কোরবো বলে সক্কালবেলায় বাক্সপ্যাঁট্রা নিয়ে স্বদেশে ফিরে গেলেন। যে কোনও মানুষ কি এই পদক্ষেপের পরে এই আনন্দ বোসকে কোথাও দুর্বল, কোথাও এরকম ঘটনা ঘটাতেই পারেন, তাহলে তো সত্যিই কিছু আছে এরকম মনে করবেন না? উনি কলকাতা রাজভবন ছেড়ে চলে গেলেন কেন? কোনও কারণ জানিয়েছেন? না জানাননি। উনি নাকি ভোটের সময়ে আইন শৃঙ্খলা ইত্যাদি দেখরেখ করবেন, রাজভবনেই নাকি এক সেল খোলা হয়েছে, তো উনি নিজেই য পলায়তি স জীবতি? চলে গেলেন ঘরে? তাই সেটাই বিষয় আজকে, রাজভবন, মিঃ আনন্দ বোস এবং ধর্ষণের অভিযোগ।

বিজেপির এক নেতা বলছিলেন, সময় খারাপ যাচ্ছে। সারা দেশ থেকে একের পর এক মহিলা নির্যাতনের ঘটনা আসছে আর তার বেশিরভাগের দায় এসে পড়ছে বিজেপির উপরে। মণিপুরের ঘটনা তো ছিল, সেখানে ধর্ষণের পরে নগ্ন করে প্যারেড করানো হয়েছে মহিলাদের, এখনও সবাইকে ধরা যায়নি, উল্টে একটা নতুন ধর্ষণের খবর বেরিয়ে এসেছে, জড়িত আছেন এক বিজেপি বিধায়কের আত্মীয়। ওদিকে কর্নাটকে জেডিএস-এর সঙ্গে জোট করে ক’ পয়সার লাভ হবে জানা নেই, কিন্তু ১৪টা আসনে নির্বাচন কাল মঙ্গলবার।

আরও পড়ুন: Aajke | রাজভবনেও গোকুল পিঠের গপ্পো

ভোটের আগে প্রোজ্জ্বল রেভান্নার ঘটনা বিরাট প্রভাব ফেলতে চলেছে, ২৮টা আসনের ১৮টা খোয়া গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এর মধ্যে কায়সারগঞ্জের কুখ্যাত সাংসদের ছেলে টিকিট পেয়েছে, সন্দেশখালি একটা ইস্যু হয়ে উঠছিল, বিভিন্ন আসনে সন্দেশখালি থেকে ৫৬-৬০ জন মহিলাকে নিয়ে গিয়ে ঘোরানো হচ্ছে, তাঁদের দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে এই এনাদের ধর্ষণ করেছে শেখ শাহজাহানের দল। কিন্তু এখন এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও বের হয়ে যাওয়ার ফলে সেটাও অন্য চেহারা নিচ্ছে। সন্দেশখালি ব্যুমেরাং না হয়ে দাঁড়ায়। তারপরে এই ছেলেটি নির্বাচন শেষে কী করবে? সব মিলিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার উপরে এই রাজ্যপালের কেস এসে হাজির। এতদিন রাজ্যপালকে মোটামুটি দলের প্রতিনিধি বানানো হয়েছে, এবার তার খেসারত তো দিতেই হবে। ওই গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল উনি একটি মেয়েকে ডাকছেন, মেয়েটি তাঁর সুপারভাইজারকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং রাজ্যপাল তাঁর সুপারভাইজারকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলছেন। এটার যদি ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে রাজ্যপালের কপালে দুঃখ আছে। নির্বাচন বলে তাই, তা না হলে বিজেপি প্রোজ্জ্বল রেভান্নার মতোই তাদেরকে ঝেড়ে ফেলতে পারত। এবং নতুন খবর হল, রাজ্যপাল রাজভবনের কর্মচারীদের এই তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আমাদের দর্শকদের একটা সোজা প্রশ্ন করেছিলাম, একজন রাজ্যপাল যাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তিনি রাজভবনের কর্মচারীদের সহযোগিতা না করার নির্দেশ দিতে পারেন? তিনি কি আইনের ঊর্ধ্বে? কী বলেছেন তাঁরা শুনুন।

একধারে সন্দেশখালির হিন্দু-মুসলমান ন্যারেটিভ কাজে লাগল না, অন্যদিকে দেশ জুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে বিজেপির জড়িত থাকার খবর কীভাবে মহিলা ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ে চিন্তিত বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। বিজেপির দিকে মহিলা ভোটারদের এক বিরাট সমর্থন ২০১৪তে ছিল, ২০১৯-এ তা বেড়েওছিল, এবারে সেই ভোট ব্যাঙ্ক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিয়ে হিসেব নিকেশে বসেছেন বিজেপির নেতারা। দলের কিছু নেতা এই রাজ্যপালের দায় কাঁধ থেকে নামিয়ে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলার কথাও বলছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular