কলকাতা: কয়েকদিন আগেই কোভিশিল্ড টিকার (Covishield Vaccine) এক বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যার নাম টিটিএস (TTS)। অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা হয়েছে। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা থেকে টিটিএস বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপিনিয়া সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এই সিনড্রোমে রক্তবাহের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্লেটলেট কমতে থাকে। এই অভিযোগ সম্প্রতি স্বীকার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা জানিয়েছে খুবই বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস দেখা দিতে পারে। এই স্বীকারোক্তির পরেই বিশ্বব্যাপি তুমল শোরগোল পড়ে যায়। এই আবহেই বাজার থেকে কোভিড টিকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গোটা বিশ্বের বাজার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Astrazeneca) তৈরি ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’, কোভিশিল্ড-সহ অন্যান্য আরও যা করোনা টিকা রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’ টিকা তুলে নেওয়ার জন্যে গত ৫ মার্চ আবেদন জানিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আর ৭ মে থেকে সেই টিকা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলে বেত খেয়েছিলাম: প্রধান বিচারপতি
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই কি বাজার থেকে কোভিড টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা?
প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, বাণিজ্যিক কারণেই ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে, এর সঙ্গে টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, অতিরিক্ত মাত্রায় কোভিশিল্ড তৈরি হলেও এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী কোনও চাহিদা নেই। ফলে বাণিজ্যিক কারণেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নতুন ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য পুরনো ভ্যাকসিনের বিকল্পও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি যৌথভাবে তৈরি করেছিল ব্রিটিশ এই ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে এই টিকা উৎপাদন করেছিল পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। এই মুহূর্তে বিশ্বের যে সমস্ত দেশে এই টিকা উৎপাদন করা হত, সমস্ত জায়গা থেকেই তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এই তালিকায় অবশ্যই রয়েছে ভারতও।
আরও খবর দেখুন