নয়াদিল্লি: ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক চিরস্মরণীয় দিন। এদিন প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের (Moon) অন্ধকারাচ্ছন্ন দক্ষিণ মেরুর কাছে ল্যান্ড করেছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। চতুর্থ দেশ হিসেবে ব্যবহার করেছিল সফট ল্যান্ডিং সিস্টেম। জানেন কি, চাঁদে পৌঁছনোর আগেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারত চন্দ্রযান? সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হওয়ার আগেই ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় আটকে দেন।
চন্দ্রযানকে রকেটে চাপিয়ে উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল ২০২৩-এর ১৪ জুলাই। কিন্তু আকাশে ওড়ার সামান্য কিছুক্ষণ আগে বিপদ দেখতে পায় ইসরোর মনিটরিং সিস্টেম। চন্দ্রযানের যাত্রাপথে চলে আসে পুরনো স্পেস মিশন এবং কৃত্রিম উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ, ভাঙাচোরা টুকরো (Space Debris)। এই সমস্ত ধ্বংসাবশেষ তীব্র বেগে মহাকাশে উড়ে বেড়ায়। নির্ধারিত সময়ে উৎক্ষেপণ হলে সেসবের সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারত এবং চন্দ্রযান মিশনের মহাকাশ-সমাধি হয়ে যেত।
আরও পড়ুন: গুগলে সুন্দর পিচাইয়ের ২০ বছর
দ্রুত উপায় বের করেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেন মাত্র চার সেকেন্ডের জন্য। চার সেকেন্ড শুনতে অতি সামান্য মনে হলেও তা বিপর্যয় ঘটানো ধাক্কা লাগা থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ট ছিল। ইসরো স্টান্ডার্ড লঞ্চ প্রোটোকলের কলিশন অ্যাভয়ন্ডেন্স অ্যানালিসিসের (COLA) মাধ্যমেই এই হিসেব করা হয়েছিল।
তবে চন্দ্রযানকে বাঁচানোর এবং নিরাপদে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য বারংবার অনুশীলন করা হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ধাক্কা লাগানো থেকে বাঁচাতে ২৩ বার কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার করা হয়। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলা অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহতে যাতে ধাক্কা না লাগে তারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
দেখুন অন্য খবর: