প্যারিস: যা অপ্রত্যাশিত ছিল সেটাই ঘটল। দু’ দু’বার অঘটন ঘটিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UCL) ফাইনালে উঠল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (Borussia Dortmund)। প্যারিস সাঁ জারমাঁকে (PSG) দুই পর্ব মিলিয়ে ২-০ হারিয়ে দিল জার্মানির ক্লাব। ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তারা। অন্যদিকে, প্যারিসের মাঠে আবারও নামল ব্যর্থতার রাত। ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বাদ থেকে আবারও বঞ্চিত কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) এবং পিএসজি।
ডর্টমুন্ড কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের রক্ষণ ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। কেরিয়ারের সায়াহ্নে চলে আসা ম্যাটস হামেলস (Matts Hummels) তাঁর সেরা ফর্মের দিন মনে করালেন। ডর্টমুন্ডের মাঠে রক্ষণ সামলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। প্যারিসে রক্ষণ তো সামলালেনই, গোলও করলেন। এদিনও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন তিনি। হামেলসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়লেন ২৪ বছর বয়সি জার্মান ডিফেন্ডার নিকো শ্লটারবেক।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফিরছেন গুরবাজ, প্লে অফে খেলবেন!
And another one. ?#UCL pic.twitter.com/SD1TX6rEfd
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) May 7, 2024
প্রথম লেগে ১-০ জেতা ডর্টমুন্ডের পরিকল্পনা ছিল জলের মতো সহজ। পিএসজিকে বল নিয়ন্ত্রণ করতে দাও, রক্ষণ জমাট করো এবং সুযোগ পেলেই কাউন্টার অ্যাটাকে আঘাত হানো। দ্রুত আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন দুই উইঙ্গার করিম আদেয়েমি এবং জেডন স্যাঞ্চো (Jadon Sancho)। পরিকল্পনা সহজ হলেও তা এমবাপে, ডেম্বেলেদের বিরুদ্ধে বাস্তবায়িত করা খুবই কঠিন ছিল কিন্তু সেটাই করে দেখালেন হামেলসরা। সঙ্গে ছিল ভাগ্যও। দুই পর্ব মিলিয়ে পিএসজি খেলোয়াড়দের গোলমুখী শট ছ’বার পোস্টে লেগে ফিরেছে। প্যারিসের মাঠে হল চারবার।
১১ বছর আগে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে (Wembley Stadium) বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। সে ম্যাচে আর্জেন রবেনের একমাত্র গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় ডর্টমুন্ডের। ১ জুন ফের ওয়েম্বলিতেই ফাইনাল। সেদিন ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি ফের বায়ার্ন হবে নাকি রিয়াল মাদ্রিদ, তার ফয়সালা হবে আজ রাতে।
দেখুন অন্য খবর: