কলকাতা ও নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog meeting) থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ওয়াকআউটকে একযোগে আক্রমণ করল কংগ্রেস এবং বিজেপি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) শনিবার বলেন, বড় দুর্বল চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন উনি। তাই ধরাও পড়ে গিয়েছেন। গোটা ঘটনাই পূবপরিকল্পিত। অধীর এবং সুজন, দুজনেই বলেন, মমতা শুক্রবার যা বলেছিলেন দিল্লিতে বসে, শনিবার ঠিক তাই করেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লি পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবই না ভেবেছিলাম। কিন্তু অভিষেক ও অন্যরা যেতে বলল। তাই ভাবলাম, ঠিক আছে। যাই। আমি রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার কথা তুলে ধরব। আমার ভয়েস রেকর্ড করতে না দিলে চলে আসব। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, বলতে ওঠার পাঁচ মিনিটের মধ্যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা আমার পক্ষে খুব অপমানজনক।
আরও পড়ুন: মমতার মাইক বন্ধ করা হয়নি, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর
এদিন দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আসলে জাতীয় রাজনীতিতে রাহুল গান্ধীর উত্থান মমতা সহ্য করতে পারছেন না। রাহুলের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তিনি এসব নাটক করছেন। মমতা নিজেকে জাতীয় স্তরের নেত্রী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দেখাতে চাইছেন, তাঁর কথাতেই ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা ওঠাবসা করছে। অধীর বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে এইভাবে মাইক বন্ধ করে দেওয়া যায় কি না, আমার জানা নেই। সমগ্র বৈঠকেরই তো ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। সেটা দেখলেই তো সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর তাঁকে যদি অপমান করা হয়, তাহলে তিনি আদালতে যাচ্ছেন না কেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলছেন। অথচ আদালতে যাওয়ার কথা বলছেন না মমতা।
এদিকে অধীরের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব অবনতি হয়েছে। খুন, জখম, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুণ্ঠন সব হচ্ছে অবাধে। রাজ্যে যেন এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। এর প্রতিকারে অধীর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলে তিনি তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে চলেন। আমরা কার কাছে বলব। তিনদিন আগে ময়নাগুড়িতে কংগ্রেসের এক গরিব কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এসব নিয়ে তাই আমরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছি।
দেখুন ভিডিও