আবুজা: নাইজেরিয়ার (Nigeria) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি (Nigeria’s President Muhammadu Buhari) পদত্যাগ করলেন। তারপর তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের যে অবস্থা ছিল এখন তার থেকে অনেক ভালো অবস্থা। সোমবার আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশের রাজত্ব ছাড়বেন। এরপর দায়িত্ব নিতে চলেছেন বোলা আহমেদ টিনুবু (Bola Ahmed Tinubu)। টেলিভিশনে ঘোষণার মাধ্যমে তিনি বলেন, আমি ২০২৩ সালে আরও সুন্দগর নাইজেরিয়াকে রেখে যাচ্ছি। যা ছিল না ২০১৫ সালে। প্রতি নির্বাচনে আমাদের গণতন্ত্র আরও মজবুত হচ্ছে। আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে যাতে নাইজেরিয়ার সব মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে থাকে।
প্রশাসনের কাছে বলা ভালো ৭১ বছরের টিনুবুর কাছে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে উত্তরপূর্বে জেহাদিদের সঙ্গে লড়াই। যার জন্যে ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০ লক্ষ মানুষকে ঘর ছাড়তচে হয়েছে। বুহারির জমানায় জেহাদি গ্রুপ বোকো হারামের ( Boko Haram) দখলে থাকা এলাকা পুনর্দখল করা গিয়েছে। তবে সেখানে ইসলামিক স্টেটের ইশ্বপ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: UPI Transaction | ইউপিআই পেমেন্টের সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে গিয়েছে, কীভাবে ফেরত পাবেন জেনে নিন
বুহারি ২০১৫ সালের পর ২০১৯ সালের নির্বাচনেও জয়লাভ করেছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও জনগণের সঠিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তবে অনেকে মনে করেন, হতাশার সঙ্গে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে। সেখানে দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব খুব বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খুন, অপহরণ, হিংসার ঘটনা ঘটছে। যার ফলে জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সেখানে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ছয় মাস ধরে টুইটার সাসপেন্ড। বুহারির ওই টেলভিশন বক্তৃতার পর যাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বলা হচ্ছে, যার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। চরম মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় রয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। অপহরণের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যা উদ্বেগজনক। চালের দাম অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। বুহারি সরকারের এই দায় তাঁকেই নিতে হবে। এমনটাই মনে করেন সেখানকার বড় অংশের মানুষ।