Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | এবারের নির্বাচনে গোবলয় থেকে পঞ্জাব হরিয়ানাতে হার-জিত ঠিক করবে...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | এবারের নির্বাচনে গোবলয় থেকে পঞ্জাব হরিয়ানাতে হার-জিত ঠিক করবে কৃষকেরা

গ্রামে বিজেপির প্রচার গাড়ি এলেই তাদের খেদিয়ে দিচ্ছেন কৃষকেরা

Follow Us :

রাজস্থানের কিছু অংশে দেখেছি, এখন সারা হরিয়ানা আর পঞ্জাবে এই ছবি দেখা যাচ্ছে, গ্রামে বিজেপির প্রচার গাড়ি এলেই তাদের খেদিয়ে দিচ্ছেন কৃষকেরা। মাইকে বলা হচ্ছে, আমাদের দিল্লির বাইরে আটকে রেখেছিলে, মনে আছে? এবার আমরাও তোমাদের গ্রামের বাইরে রাখব। এরকম ছোট ছোট ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, আর ঘটনাগুলো আরও বাড়ছে। বিচ কা রাস্তা নহি হ্যায়, বলে দিয়েছেন কৃষক নেতারা। মধ্যিখানের রাস্তা নেই, আন্দোলন চলবে, আরও তীব্র হবে। কৃষি বিল শুধু ফেরত নিয়েছি বললেই হবে না, সে তো এখন ইতিহাস, আমাদের দাবি মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসকে আইন করতে হবে। নো মিডলপাথ। নো পাসারন, সরেও যাবে না তারা, পার পাবে না সরকার। কৃষক আন্দোলনের এই মেজাজ গণতন্ত্রের বহু শর্তকে সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে, আসুন আজ সেটা নিয়েই দুটো কথা বলা যাক, বিচ কা রাস্তা নহি হ্যায়।

আইটি সেল, বিজেপির ভক্তদের প্রচার দেখলে মাঝেমধ্যেই মনে হয়, এরা দেবশিশু, অপাপবিদ্ধ, কিচ্ছুটি জানেন না। তো সেই তাঁরা খুব গলা উঁচিয়ে বলছেন তা নয়, কিন্তু বলতে শুরু করেছেন, এর মানে কী? গরিষ্ঠ সংখ্যক ভোট পেয়ে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একটা সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো আইন তৈরি করতে পারবেন না, তাঁরা বলছেন বিরোধীরা গণতন্ত্র কে হত্যা করতে চায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার কে কাজ করতে দিতে চায় না, গণতন্ত্র মানে না। যদিও ওধারে নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান অমিতাভ কান্ত বলেছেন, এদেশে বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্র আছে, কোনটা ঠিক ধরব? আইটি সেল প্রচার করছে কিছু কৃষককে সামনে রেখে, বিরোধী দল আসলে সরকারকে ব্ল্যাকমেল করছে। মানুষকে বোঝাতে চাইছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তাদের ইচ্ছে খুশিমতো আইন তৈরি করতে পারেন, সংসদে পাশ করাতে পারেন, তাহলেই সেটা দেশের প্রত্যেককে মানতে হবে, এটাই নাকি গণতন্ত্র।

আসল সমস্যা হল, গণতন্ত্র, এই শব্দটা আরএসএস-বিজেপির দর্শনের সঙ্গে যায় না। তাদের দর্শনের ভিত্তিই হল স্বৈরতন্ত্র, এক জাতি, এক ভাষা, এক দেশ, এক ধর্ম, আরএসএস ফ্ল্যাগে ওম চিহ্ন আছে আর হিটলারের, নাৎসিদের ফ্ল্যাগে স্বস্তিকা চিহ্ন ছিল, এই যা তফাত। গণতন্ত্র যেখানে এক ইনক্লুসিভ রাজনীতির কথা বলে, ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, জাত, ভাষা, বিভিন্ন রুচির মানুষকে নিয়ে চলার কথা বলে, সেখানে আরএসএস-এর গণতন্ত্র আসলে এক ধর্ম, এক ভাষা, এক নেতার, এক দর্শনের কথা বলে। এবং তাই গণতন্ত্র বলতে ঠিক কী বোঝায় তা তাদের জানা নেই। সম্বিত পাত্র, অমিত মালব্যরা নিজেদের স্বৈরতান্ত্রিক দর্শনকেই গণতন্ত্র বলে চালাতে চান। অপেক্ষা আর কয়েকটা বছরের, আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্রকেও বাতিল করে দেবেন তাঁরা, তাই তাঁরা বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ এক সরকার, তার ইচ্ছে খুশি মতো আইন করতে পারে। একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাক, কী আছে সেখানে।

১৯৪৭ দেশ স্বাধীন হল, নেহরু প্যাটেল ছিলেন ভাষাভিত্তিক রাজ্য তৈরির বিরোধী, গান্ধী আম্বেদকর ভাষাভিত্তিক রাজ্য তৈরির পক্ষে। বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন শুরু হল, ১৯৫৩তে তেলুগু ভাষার ভিত্তিতে আন্দোলন চলাকালীন পত্তি শ্রীরামালু ৫৬ দিন অনশনের পরে, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫২তে মারা যান। নেহরু মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি ভেঙে অন্ধ্র তৈরি করার ঘোষণা করেন, ১৯৫৩তে অন্ধ্র তৈরি হয়, এটাই গণতন্ত্র। ১৯৫৬ বঙ্গ-বিহার সংযুক্তিকরণ, সিদ্ধান্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীকৃষ্ণ সিনহার। বাংলায় ২৩৮টা আসনের মধ্যে ১৫০টা জাতীয় কংগ্রেসের, কিন্তু রাজ্য জুড়ে বামপন্থীদের প্রচার সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে। কলকাতা উত্তর পশ্চিমের সাংসদ মেঘনাথ সাহার মৃত্যুতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ওই আসনে। বিধান রায় বললেন, মানুষ যদি ওই আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তাহলে আমরা সংযুক্তিকরণের কথা আর তুলব না। কলকাতা উত্তর পশ্চিমে কমিউনিস্ট প্রার্থী মোহিত মৈত্র জিতে গেলেন, বিধান রায় ফিরিয়ে নিলেন সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব, এটাই গণতন্ত্র। প্রেস বিল এনেছিলেন, ১৯৮০তে জগন্নাথ মিশ্র, পাশও হয়েছিল, বিহার বিধানসভায়। সারা বিহারে আন্দোলন শুরু হল, তিনি প্রেস বিল ফেরত নিয়েছিলেন, এটা গণতন্ত্র।

আরও পড়ুন: এই নির্বাচনের সময়েই দাবি তুলুন, আমাদের মৌলিক অধিকার ফেরত পেতে চাই

গণতন্ত্রে একবার নির্বাচিত হলেই যা খুশি করার অধিকার নেই বলেই, সংসদ আছে, অধিবেশন আছে, তর্ক-বিতর্ক আছে, ভোটাভুটি আছে, এবং বিল হওয়ার পরেও তা প্রত্যাহার আছে, সংশোধন আছে, বাজেট পাশ হওয়ার পরেও রোল ব্যাক আছে, কারণ এটাই গণতন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী সংসদকে এড়িয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, তারপর সে আইন সংসদে পাশ করিয়েছিলেন, সংসদে বলার মত শক্তি ছিল না বিরোধীদের, তারা রাস্তায় বিরোধিতা করেছিল, জয়প্রকাশ নারায়ণ সম্পূর্ণ ক্রান্তির স্লোগান দিয়েছিলেন, সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নেতারা, ছিলেন বাজপেয়ী, আদবানি, জেটলি, সুষমা স্বরাজেরা। নরেন্দ্র মোদি নিজে বলেন বটে যে তিনি ওই আন্দোলনে ছিলেন, তবে তার অকাট্য প্রমাণ আমাদের হাতে নেই, যেমন নেই তাঁর পড়াশুনোর সার্টিফিকেট। তো সে কথা থাক, বিষয়টা হল, সংখ্যাগরিষ্ঠতাই গণতন্ত্রে সবথেকে বড় কথা নয়, বরং গণতন্ত্রের উদগাতারা ভয়েজ অফ ডিসেন্টকে, ভয়েজ অফ মাইনরিটিকেই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন, সংখ্যালঘু বিরোধী দলই আসলে এক অঙ্কুশ যা গণতন্ত্র কে রক্ষা করে, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতাই আইন জারি করার একমাত্র কারণ হতে পারে না, আইনত সে আইন জারি করাই যায়, মানুষ না মানলে, সে আইন ফেরত নেওয়া হয়, সেটাই গণতন্ত্র।

আজ সেই কথা আবার ভাবার সময় এসেছে, কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, বিচ কা রাস্তা নহি হ্যায়। স্বাধীনতার পরে কৃষকদের আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিল অন্ধ্র, মহারাষ্ট্র, বাংলার মধ্যে, এবং তা ছিল মূলত ফসল, আনাজের ভাগের লড়াই। সবুজ বিপ্লবের পর পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সম্পন্ন চাষী, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের আখ, পেঁয়াজ, বাদাম চাষিদের সঙ্গে দেশের প্রান্তিক ছোট চাষিদের বিচ্ছিন্নতা শুরু হয়। একধারে বড় জোত, অন্যধারে ক্যাশ ক্রপ অর্থনীতিতে তাদের অন্য মাত্রা দিতে থাকে, অন্যধারে সবুজ বিপ্লবের স্রেফ সার আর বীজের সাহায্য নিয়ে দেশের প্রান্তিক চাষিরা, না খেতে পাওয়া প্রান্তিক চাষিরা কোনও রকমে খাবার জোগাড় করতে সক্ষম হয়, দেশে সফল ভূমি সংস্কার ৭৭-এ বামফ্রন্ট এনেছে বলে একটা চালু মিথ আছে বটে। কিন্তু আদতে সারা দেশে প্রথম সফল ভূমি সংস্কার হয় কাশ্মীরে, সেখানকার বাগিচা ফসল, আপেল, জাফরান, আখরোট, খুবানি ইত্যাদি তাদের এক ধরনের সম্পন্নতা দেয়, সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরে কৃষিমজুর আমদানি হতে থাকে বিহার, ইউপি, বাংলা থেকে, সে সব কৃষি মজুরদের শোষণ তখন, এখনও অবর্ণনীয়। বাংলায় ভূমি সংস্কার হয় বটে, কিন্তু তার পরের ধাপ, যৌথ খামারে যাওয়ার সাহস দেখায়নি বামেরা, তাদের সে দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল না, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ উৎপাদনকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তারও ন্যূনতম ধারণা ছিল না তাদের। তাই কমিউনিস্ট নেতার মুখে শোনা গেল, চাষির ব্যাটা কি চাষিই হবে? মানে চাষাভুসো সম্পর্কিত ফিউডাল দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তারা বের হতে পারেননি। অতএব এমনকী চারফসলা জমিতে, কারখানার সেমসাইড গোল করতে তাঁরা নেমে পড়লেন, আন্দোলন হল, কিন্তু সেটা যত না কৃষকের আন্দোলন, তারচেয়েও বেশি গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন হয়ে দাঁড়াল। সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না, বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটিরা তাদের অবস্থান থেকে নড়বেন না, কৃষকরা বড়জোর সঙ্গে ছিলেন, এ লড়াই ছিল, সরকারের জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই। কৃষকদের চাষ, ফসল, মূল্য নিয়ে আন্দোলন নয়, তাদের জমি থাকবে কি থাকবে না, সরকারের ইচ্ছে হলেই কেড়ে নেওয়া যাবে কি যাবে না তা নিয়ে লড়াই। সে লড়াই দেশে নয় পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হয়েছে, সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আইনের বেশ কিছু সংশোধন হয়েছে, দেশে তারপরেও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলন একা কৃষকদের আন্দোলন নয়।

সেই অর্থে আজ কৃষকদের আন্দোলনে, এই প্রথম কৃষকরা তেভাগা আন্দোলনের পরে তাদের ফসলের লড়াইয়ে নেমেছে, তফাত মূলত দুটো। এক, এখানে সম্পন্ন চাষিরাই আগে নেমেছে, বাকিরা সাইডলাইন থেকে মাঠে নামা শুরু করেছে। দুই, সেবার লড়াইয়ের নেতৃত্বে ছিল কমিউনিস্ট পার্টি, এবার কৃষকদের আন্দোলন, কৃষকদেরই, পাশে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক দল, মাথায় নয়। কৃষকরা সংসদে প্রতিনিধি চাইছে না, তারা নির্বাচনের কথা বলছে না, তাদের স্পষ্ট দাবি কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত বিল ফেরত নেওয়াটাই যথেষ্ট নয়, এমএসপি, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসকে আইনের অন্তর্গত করতে হবে, এমএসপি নিয়ে আইন আনতে হবে। এই কিন্তু ছোট চাষি, বাংলার চাষীদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটা আলাদা আলোচনার দাবি রাখে, আর তাই তৃণমূলের ইস্তেহারে এই এমএসপির কথা, এমএসপির গ্যারান্টির কথা বলা আছে। সবুজ বিপ্লবের সময়েই এই ন্যূনতম সমর্থন মূল্য, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের কথা উঠেছিল। প্রথমে ধানের ক্ষেত্রে হয়, পরে গমের, আবার একবছর পরে গমের থেকে তুলে নেওয়া হয়, এটা ছিল সরকারের ঘোষণা। তারা একটা মূল্য বেঁধে দিয়েছিল, কৃষকরা সরকারের খরিদ্দারি বা প্রকিওরমেন্ট থেকে ওই টাকাটা পেত। এরপর ১৯৭৫-৭৬-এ সরকার একটা কমিটি তৈরি করে দেয়, যে কমিটি, জমির মাপ, সে বছরের সেচ বা বর্ষার জল, মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন খাতে খরচ ইত্যাদি বহু কিছু তথ্যের ভিত্তিতে একটা সাপোর্ট প্রাইস ঘোষণা করা শুরু করে, সেটাই এখনও চলে আসছে, ২২টা শস্য, ১৪টা খরিফ, ৬টা রবি শস্য আর আর দুটো ক্যাশ ক্রপ, তুলো আর নারকেলের জন্য একটা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস ঘোষণা করে, এছাড়া আখের জন্যও একটা দাম ধার্য হয়। বাজারে আনাজ এমএসপি-র হিসেবে বিক্রি হবে, সরকার নেওয়ার সময়, তার থেকেও বেশি দাম দিতে পারে, অন্তত ওই দামটা দেবে।

এদিকে সারা দেশে যত আনাজ হয় তার মাত্র ২৫-২৭ শতাংশ সরকার কেনে, বাকিটা বেসরকারি ধানকল, গমকল, তেলকল। এবং পঞ্জাব হরিয়ানার ৮৫ শতাংশ আনাজ সরকার কেনে, সরকার কিনলে তারা এমএসপি পায়। কিন্তু বেসরকারি সংস্থা কিনলে এমএসপি পাওয়ার গ্যারান্টি নেই। মজার কথা হল, এখনও পর্যন্ত মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস কিন্তু একটা সরকারি ঘোষণা, এটা আইন নয়। মানে কেউ যদি এমএসপির নীচে আনাজ কেনে তাকে জেলে পাঠানো যাবে না, কোনও এক সময়ে যদি সরকারও এমএসপি না দেয়, তাহলেও তাকে আইনের সামনে দাঁড় করানো যাবে না। প্রান্তিক চাষিদের সমস্যাটা এখানেই, তাদের সামান্য উৎপাদন নিয়ে তারা অনেক সময়েই মান্ডিতে যেতে পারে না, ফড়েরা এসে অনেক কম দামে কিনে নিয়ে যায়, ধানকল, গমকল, তেলকলে বিক্রি করে, এই প্রথম তাগড়া দাবি উঠল, এমএসপিকে আইন করতে হবে। এমএসপি যদি আইন হয়, তাহলে ফড়েরাও গ্রামে এসে কম দামে ধান, গম কিনতে গেলে তা বেআইনি হবে, পুলিশ, থানা হবে। চাপ বাড়বে, কৃষকরা একটু ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এমএসপি পাবে, এটা কৃষকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন এ বছরে সাধারণ মানের ধানের সাপোর্ট প্রাইস ১৮৬৮ টাকা, বাংলার গ্রামে গ্রামে ফড়েরা ধান কিনছে ১৪০০ টাকা কুইন্টাল, অর্থাৎ এমএসপি আইন হলে কৃষকরা অনেক টাকা বেশি রোজগার করতে পারবে, এমনকী ছোট কৃষক, মাঝারি কৃষকরাও।

তাহলে মোদি সরকার চাপটা বুঝে কোনও ব্যাখ্যা না দিয়েই কৃষি বিল ফেরত নিয়েছেন বটে কিন্তু এবারে এমএসপির দাবি উঠছে। আরও ট্রাক্টর এগোবে, দিল্লির দিকে, আরও কৃষক যাবেন দিল্লি অভিমুখে। প্রধান সেবক, নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি দেওয়ালের লেখা সাফ সাফ পড়তে পারছেন তো?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Kalyan Banerjee | ডোমজুড়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে পোস্টার
02:07
Video thumbnail
Kapil Sibal | সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বড় জয় কপিল সিব্বালের, চতুর্থবার সভাপতি পদে
01:03
Video thumbnail
Purba Medinipur | পূর্ব মেদিনীপুরে সিবিআই, কাঁথিতে ভোটের আগেই দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা
04:11
Video thumbnail
Patharpratima | বারান্দায় দুই বোনকে কুপিয়ে খুন! সাতসকালে হাড়হিম হত্যাকাণ্ড পাথরপ্রতিমায়
02:10
Video thumbnail
Sitalkuchi | ফের উত্তপ্ত শীতলকুচি, পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ করে 'গু*লি'
04:33
Video thumbnail
I.N.D.I.A Alliance | জোট নিয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল? বাংলায় TMC বিরুদ্ধে লড়াই বাম-কংগ্রেসের
02:36
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | ভোটপ্রচারে আজ জোড়া সভা অভিষেকের, হুগলিতে রচনা ব্যানার্জির সমর্থনে সভা
01:06
Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধে মুখোমুখি | সাজদা আহমেদ পরিযায়ী পাখি: অরুণোদয় পাল চৌধুরী, পাল্টা কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী
08:45
Video thumbnail
CBI | সিজুয়ায় নন্দদুলাল মাইতির বাড়িতেও সিবিআই, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে হানা
00:47
Video thumbnail
Purba Medinipur | CBI-র নজরে পূর্ব মেদিনীপুরের ২ TMC নেতা, মারিশদায় দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতে সিবিআই
01:20