Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | মোদি-শাহ নার্ভাস, বিজেপির গ্রাফ নামছে
Fourth Pillar

Fourth Pillar | মোদি-শাহ নার্ভাস, বিজেপির গ্রাফ নামছে

দেশের অর্থনীতি ক্রমশ নীচের দিকে নামছে তো নামছেই

Follow Us :

গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত হল বিরোধী স্বর। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে, এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। সামন্ততন্ত্রে মানে রাজা হর্ষবর্ধন বা মুঘল সম্রাট শাহজাহানের সেই দায় ছিল না। তাঁদের কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা সম্ভব ছিল না, তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ ছিল না। তোলা হলে তাকে রাজদ্রোহ বলে গণ্য করা হত। স্বৈরতন্ত্রেও একই হাল, কোনও প্রশ্ন নয়, আদেশ আর আদেশ পালনের মধ্যেই সীমিত থাকত নাগরিক অধিকার। গণতন্ত্রের ধারণা এর বিপরীত, সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন হবে, সরকার না শুনলে আদালত আছে। ধরুন আমেরিকা, এক অ্যাটর্নি সাহেব চাইলেন ট্রাম্প সাহেবের রোজগার সম্পর্কিত কাগজগুলো দেখতে, পরীক্ষা করতে। ট্রাম্প সাহেব বললেন আমি রাষ্ট্রপতি, ওখানকার কোর্ট বলল নিশ্চয়ই, কিন্তু আপনি একজন নাগরিক, যিনি প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও একজন নাগরিক, হিসেবের খাতা দেখাতে হবে। দেখানো হল। এবার আসুন আমাদের মহান পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে, এখানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকুও এখনও জানা গেল না। ছেড়ে দিন, ওনার তৈরি নতুন পিএম কেয়ার ফান্ড, তাতে কে কে টাকা দিল, কোন কোন খাতে কত টাকা খরচ হল, তার একটা তথ্যও জানা যাবে না। তিনি সেই পবিত্র গাভী যিনি আইনের ঊর্ধ্বে, আপনার আমার প্রতি পাইপয়সার হিসেব দিতে আমরা বাধ্য, আমরা তো আম নাগরিক। কিন্তু সেই আম নাগরিকের জন্য তোলা টাকার হিসেব আম নাগরিক পাবে না, আহা রে গণতন্ত্র।

সে সবও বাদ দিলাম, সরকার বহু কিছু করছে যাকে দিনে ডাকাতি বললে কম বলা হয়, দেশের সম্পত্তি, পাবলিক প্রপার্টি যাকে বলে তাকে কম দামে দেশেরই কিছু ব্যবসায়ীদের হাতে বেচে দেওয়া হচ্ছে। কোনও প্রশ্ন নেই। কে প্রশ্ন করবে? কংগ্রেস? রাহুল গান্ধীর ঘরে যিনি সোজা ঢুকে পড়তে পারতেন, সেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সোজা চলে গিয়েছেন বিজেপির ঘরে, রাজস্থানে ঘুঁটি পড়ল পড়ল করে শেষ পর্যন্ত ভোটের হিসেব কষেই পড়েনি, কংগ্রেস তাই নিয়েই ব্যস্ত ছিল। ঘাগু নেতা কমলনাথ, দিগ্বিজয় সিং বা অশোক গেহেলট যতদিন আছেন, তাদের কাছেই থাকবে ক্ষমতা, তারাই সরকারের, দলের মাথা হবেন, এটাই তো রীতি অতএব বয়সে তরুণরা বিজেপিমুখো। কংগ্রেস সেই নিয়েই ব্যস্ত ছিল। বাকি ছোট দলের বিভিন্ন সময়ে শাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন এত দুর্নীতির খবর আছে যে তাদের প্রতিবাদের ইচ্ছে হওয়ার আগেই দরজায় পৌঁছে যায় সিবিআই, ব্যস বোলতি বন্ধ হত, সব প্রতিবাদ উড়ে যেত, উবে যেত। তেমন তেমন ইস্যু হলে তাদের কেউ কেউ সমর্থনও দিয়েছেন, কারণ ওই যে সিবিআই। দেশের ছোট দলগুলোর স্বর ছিল না। বাকি রইলো বামপন্থীরা, তারা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবল চেষ্টায় এখন সব ছেড়ে কীভাবে কেরালা ধরে রাখা যায় আর বাংলায় কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দেশ জুড়ে তাদের কণ্ঠস্বর যখন ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছিল, তখন বেড়েই চলেছিল মোদি–শাহের প্রতাপ। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, দক্ষিণে ডিএমকে, যাদের নিজের রাজ্যের বাইরে কোনও অ্যাসপিরেশন নেই, তারা কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছে। এবং হঠাৎই দেশ জুড়ে বিরোধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে, কংগ্রেস বুঝেছে তাদের সীমাবদ্ধতা, ৫৪৩-এর মধ্যে ৩২৮টা আসনে তারা লড়ছে, ছোট বিরোধী দল, আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে চলছে। এই বাংলার তৃণমূল হাজার সিবিআই-ইডির পরেও লড়ে যাচ্ছিল, বিজেপি বুঝেছে এই বিরোধিতা বন্ধ করতে পারলেই দেশের দখলদারিতে কিছুটা এগোনো যাবে। তারা বুঝেছে তাদের দুর্গে আসন বাড়ানোর আর অবকাশ নেই, বিহারে কমবে তারা জানে, মহারাষ্ট্রে, কর্নাটকে কমবে তারা জানে। তাই বাংলাতে তাদের নজর আছে, গতবার ১৮ ছিল, এবার টার্গেট ২৫-৩০। তারা যেন তেন প্রকারেণ বাংলা দখলের খেলায় নেমে পড়েছেন, প্রচার, অপপ্রচার, টাকার খেলা, সিবিআই, ইডি, কারণে অকারণে বিক্ষোভ প্রতিবাদকে অবরোধ আগুন ধর্নায় নিয়ে যাওয়া এবং হিন্দু-মুসলমান তাস, এই সবক’টা খেলা একসঙ্গে চলছে। দেশ নয়, মানুষ নয়, উন্নয়ন নয়, অর্থনীতি নয় কেবল বাংলা দখল বিজেপিকে নির্বাচনে খানিক স্বস্তি দেবে এটা বিজেপি বুঝে গেছে। তাদের ২০১৪-র পর থেকে স্লোগান হয়ে উঠছিল এক বিরোধীমুক্ত ভারত। সারা দেশে এক বিরোধীহীন অবস্থা বিজেপি কেন চাইছিল? আসুন সেটা নিয়েই কিছু কথা বলা যাক।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আদানি আম্বানি মোদিজি এবং গরু হারানোর গপ্পো

এমন নয় যে ওই করোনা আর লকডাউন এসে দেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে ছাড়ল, এমন নয় যে তার আগে অর্থনীতির চাকা গড়গড়িয়ে চলছিল। অর্থনীতি চলা বন্ধ করেছে সেই ডিমনিটাইজেশনের দিন থেকে, তারপর জিএসটি, আবার ধাক্কা। তারপর এল করোনা আর অবিবেচকের মতো লকডাউন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এক ধাক্কায় পথের ভিখিরি হতে বাধ্য হল, চাকরি গেল, মাইনে ছাঁটাই হল। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যদি সবথেকে ভালো অবস্থার কথা ভেবে হিসেব করা যায় তাহলেও অর্থনীতির সঙ্কোচন, শ্রিঙ্কিং আটকানো যাবে না, আর যতটা খারাপ চলছে তাই যদি চলতে থাকে তাহলে এই সঙ্কোচন আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। কে বলছেন? সেই প্যান্ডেমিকের সময়েই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক অ্যাডভাইজার ডঃ রথীন রয় বলেছিলেন যে অর্থনৈতিক এই সাংঘাতিক অবস্থা থেকে বের হতে দু’ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এক মানুষ যেটুকু রোজগার করতে পারছে না সেটুকু তাকে দেওয়া, মানে সাপোর্ট দেওয়া। তাহলে অর্থনীতির চাকা আবার ঘুরতে পারে। অন্যটা হল ধার দেওয়া, কোল্যাটারাল ফ্রি লোন ইত্যাদি যার ফলে ছোট মাঝারি বড় শিল্প আবার চলতে শুরু করে, মানুষ চাকরি না হারায়, মাইনে পায়, তা দিয়েও অর্থনীতির হাল ফেরানো যায়। বলা বাহুল্য যে সরকার প্রথমটি বাদ দিয়ে দ্বিতীয়টিই বেছে নিয়েছিল। এখন এই রাস্তা থেকে ফেরার কোনও উপায় নেই আর এর ফলে খুব শিগগিরই যে অর্থনীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে তা ও সম্ভব নয়। এর ফলে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ যারা ক’ বছর আগে দারিদ্র সীমারেখার কিছুটা উপরে উঠেছিল, তারা আবার সেই দারিদ্র সীমারেখার তলায় চলে যাচ্ছে।

তাহলে সরকার কী করবে? ব্যাঙ্কের হিসেবটা একটু দেখে নেওয়া যাক। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হিসেব বলছে, গত আট বছরে তারা ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার ঋণ মাফ করেছে। আর মূল টাকার ৭-৮ শতাংশ মাত্র ফেরত এসেছে টাকার অঙ্কে ৮৯৬৯ কোটি টাকা। মনমোহন জমানার ১২-১৩তে ১৪৪৫ কোটি, ১৩-১৪তে ৩২৪৮ কোটি। নরেন্দ্র মোদির জমানায় ১৪-১৫তে ৫৬৩০ কোটি, ১৫-১৬তে ৮৪৬১ কোটি, ১৬-১৭তে ১৩৫৮৭ কোটি, ১৭-১৮তে ১৭৫৪৮ কোটি, ১৮-১৯-এ ২৭২২৫ কোটি আর গত বছরে ১৯-২০তে ৪৬৩৪৮ কোটি। ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০২২-২০২৩ পর্যন্ত ১৪.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মাফ করতে হয়েছে। মানে এটা এক দু’ বছরের অসুখ নয়, এটা একটা ফিনোমেনন, এটা ঘটেই চলেছে। একে আটকানোর কোনও মেকানিজম সরকারের কাছে নেই। এসবিআই সমেত সবকটা ব্যাঙ্ককে যদি ধরা হয় তাহলে আরও অনেক টাকা ঋণ মাফ করা হয়েছে আর আদায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার মতন।

মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্টমেন্ট কমেছে ১৯৭০০ কোটি টাকা। এটা যদি মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তদের ইনভেস্টমেন্টের হিসেব হয় তাহলে অর্থনীতির ভাষায় যাদের দরিদ্র বলা হয় তাদের অবস্থাটা কতটা খারাপ হতে পারে।

মোদ্দা কথা হল দেশের অর্থনীতি ক্রমশ নীচের দিকে নামছে তো নামছেই। অথচ এদেশের হাতে গোনা কিছু পরিবারের ব্যবসা বেড়েই চলেছে, তাও থামবার কোনও লক্ষণ নেই। কোনও এক জাদুস্পর্শে তারা বিশ্বের ধনী তালিকার শীর্ষে চলে যাচ্ছেন। আম্বানি আর আদানি গোষ্ঠীর মোট সম্পদ আর দেশের জিডিপি প্রায় এক জায়গায় পৌঁছনোর মুখে।

কোন ম্যাজিকে? সারা দেশের শিল্প ধুঁকছে, একমাত্র কৃষিই যা ভরসা সেখানে আম্বানি আদানি টাটা বিড়লা গোয়েঙ্কা ডালমিয়ারা বাড়ছে কী করে? তাদের নাম তাবৎ বিশ্বের ধনী তালিকায় উঠছে কী করে? আসুন সে প্রশ্নের কিছু জবাব নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সরকার দেশ বিক্রি করছে, দেশের কলকারাখানা নদী পাহাড় বন জঙ্গল বিক্রি করছে। এমনকী যখন দেশের মানুষ করোনা লকডাউন, সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, দেশের বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতার দরজায় সিবিআই ইডি বসে আছে, বামপন্থীরা উদভ্রান্তের মতো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কংগ্রেসের হাত ধরছে, কংগ্রেস নিজের মাথার ঘায়ে পাগল, তারা সাকুল্যে হাতে থাকা রাজ্য সামলাতে ব্যস্ত, কারণ সরকারের হাতে টাকা থাক বা না থাক বিজেপির হাতে টাকার কমতি নেই আর টাকা ফেললে আমাদের দেশে এমএলএ ওজন পাল্লায় বসিয়ে বেচা কেনা যায়। সেই টাকা এখন উড়ছে রাস্তায় রাস্তায়, রাখা আছে আরও যথেষ্ট যা দিয়ে নির্বাচনের পরে কিনতে হতে পারে ঘোড়া গাধা। ব্যাঙ্কিং, পেট্রোলিয়াম, অ্যাটমিক এনার্জি, ডিফেন্স, স্পেস বা পোর্ট, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে শেয়ার বেচা চলছে, সিদ্ধান্ত হয়েই গিয়েছিল, এখন কার্যকর করা হচ্ছে। ওধারে খনি বিক্রি হচ্ছে, রেল বিক্রি হচ্ছে, পোর্ট বিক্রি হচ্ছে, এয়ারপোর্ট বিক্রি হচ্ছে, রাস্তা বানানো বা রেল ট্র্যাক বসানোর কনট্রাক্ট দেওয়া হচ্ছে, টেলি কমিউনিকেশন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কাছে পয়সা নেই, পয়সা চাই, ইনকাম ট্যাক্স আদায় কমেছে, জিএসটি আদায় কমেছে। মোদি এবং তাঁর সরকার ব্যস্ত টাকা জোগাড় করতে, বেচে দাও হল তাদের মন্ত্র, সব বেচে দাও। ২০১৪-১৫ ২৪৩৪৫ কোটি টাকা এসেছিল এই বিক্রি থেকে, ২০১৭-১৮তে ১ লক্ষ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে এই খাতে ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। গত ৯ বছরে ২৮টা পিএসইউ বেচে দেওয়া হয়েছে। পাবলিক প্রপার্টি, দেশের সম্পদ বেচে দেওয়া হচ্ছে কিছু শিল্পপতির হাতে, দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, গরিব আরও গরিব হচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটছে, ইনফ্লেশন বাড়ছে, জিনিসের দাম বাড়ছে কিন্তু আম্বানির লাভ বেড়ে চলেছে, আদানির কোটি কোটি টাকা সম্পদ বাড়ছে, ভারতবর্ষের কয়েকটা পরিবার ফুলে ফেঁপে উঠছে আমাদের সাধারণ মানুষের সম্পদের দখলদারি নিয়ে।

গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ শিরদাঁড়াহীন। হয় তারা বিক্রি হয়ে গেছে, নয় বিক্রি হওয়ার জন্য চাপ আসছে। মেনস্ট্রিম মিডিয়ার দিকে তাকান, রামমন্দিরের জন্য কত কেজি রুপো আসছে, কত প্রদীপ জ্বলবে, ঠিক কোনখানে অনুষ্ঠান হবে, প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত, খুব বেশি হলে কিছু উত্তেজনা, সনসনিখেজ রিপোর্টিং, টিআরপি বাড়ানোর খেলা। এরই আড়ালে অথচ সবার চোখের সামনে লূঠ হয়ে যাচ্ছে স্বদেশ আমার, আমার জন্মভূমির জল জঙ্গল জমিন আসমান বেচে দিচ্ছে সরকার। কে আটকাবে? কোন পথে রোখা যাবে? এখন সেই পথেই নামছে আম জনতার মিছিল, দেশ জোড়া মানুষের মিছিল বলছে, রুখতে হবে এ লুঠতরাজকে। এবার সেই লাগাতার উল্টোরথের চাকায় টান পড়েছে। পড়েছে বলেই মিডিয়াতে অন্য সুর। বিজেপিকে হঠাৎ অপ্রস্তুত দেখাচ্ছে, হঠাৎই নার্ভাস দেখাচ্ছে ৫৬ ইঞ্চির চওড়া সিনার নরেন্দ্র ভাই দামোদর দাস মোদিকে? হঠাৎই খেই হারাচ্ছে বিজেপির প্রচার? হঠাৎই দেশ জুড়ে একটা কথা আলোচনা হতে শুরু হয়েছে, সবকুছ ঠিক নহি হ্যায়, বিজেপি পিছচ্ছে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ন্যাশনাল মিডিয়াতে। যাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন ইটস অ্যা ডান ডিল, যাঁরা আলোচনা করছিলেন ৩১৪ না ৩৫৯ নাকি ৩৭১? বিজেপি এবারের সম্ভবত রাজীব গান্ধীর ৪০৪ ছুঁতে পারবে না ইসসসসস, এই নিয়ে আলোচনা চলছিল, হঠাৎই তাল কেটেছে। গোদি মিডিয়াতে মোদিজির পরেই রাহুলের বয়ান আসছে, প্যানেল ডিসকাশনে কর্নাটকে কংগ্রেস সম্ভবত ১৭-১৮টা আসন পাবে, আলোচনা হচ্ছে। আসলে জমিতে গরম হাওয়া বইছিল, তাকে ধামাচাপা দিয়ে এক সুবাতাস বহিতেছে গোছের প্রচার চলছিল, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এবার সেই গরম হাওয়া তাদেরও গ্রাস করবে, তাঁরা হাওয়া মোরগ, হাওয়া ঘুরছে, ঘুরেছে ওনারাও ঘুরছেন। দেশজুড়ে এই অবস্থা বিজেপির এত দিকের ফল্ট লাইন আজ তৈরি হয়নি, বিজেপি বেশ খেটেখুটেই এই জায়গাতে নিজেদের নিয়ে এসেছে। এখন হঠাৎই সেটা ফিল করা যাচ্ছে, আর মিডিয়া ভোটের প্রচার শুরু হতেই বুঝতে পেরেছে, সেখানে ওয়েদার ককেরা, হাওয়া মোরগেরা সুর পাল্টাচ্ছে। তিন দফাতেই এই আলোচনা হলে আর চার দফার পরে সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? ভাবার কোনও কারণই নেই যে ওনাদের, মানে মোদি–শাহের ইচ্ছেতেই চলবে দেশ, এরকম হাজারো লুঠেরা স্বৈরাচারীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়েছে আমার স্বদেশ, আবার এক বার তাই সই, নো পাসারন, পার পাবে না।

RELATED ARTICLES

Most Popular