হেলথ টিপস: বর্তমানে অল্পবয়সিদের শরীরেও দেখা যাচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা (High Cholesterol)। রক্তে চুপিসারে বাড়ছে কোলেস্টেরল। উপসর্গ দেখেও টের পাওয়ার উপায় নেই। রক্ত পরীক্ষা করালে তবেই ধরা পড়ে কতটা বেড়েছে কোলেস্টেরল। মূলত রাত জাগার অভ্যাস, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, প্রক্রিয়াজাত খাবারে আসক্তি, শরীরচর্চায় অনীহার ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে মানতে হবে ৬টি বিষয়-
লেবু জল: সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু জল খাওয়া অভ্যাস করুন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোয়েড যৌগ লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের সঙ্গে লড়াই করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট: কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করতে হবে। ব্রেকফাস্টে যেন ফাইবারে ভরপুর খাবার থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। দানাশস্য ও সবজি খান বেশি করে।
বাদাম: আমন্ড ও আখরোটের মতো বাদাম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ম্যাজিক মহৌষধি লেবু জল!
গ্রিন টি: সকালবেলা চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু দুধ-চিনি দিয়ে চা খেলে চলবে না। এমনকি ব্ল্যাক টিও বাদ দিন। গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। গ্রিন টিয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা: প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। তবে শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিম নয়, নিয়মিত হাঁটা কিংবা জগিং, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও সহায়তা করতে পারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে।
ধূমপান বর্জন: ঘুম থেকে উঠে ধূমপান না করে অনেকের সকাল শুরু হয় না। ধূমপান যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করে তেমনই বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (Bad Cholesterol) মাত্রাও। তাই এই অভ্যাসেও রাশ টানতে হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি একাধিক বই, তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। কোলেস্টেরল কমাতে উপরিউল্লিখিত বিভিন্ন প্রয়োগের ভালো-মন্দ কোনও প্রভাবের জন্য কলকাতা টিভি ডিজিটাল টিম দায়বদ্ধ নয়। কোনও তথ্য বিশ্বাস বা প্রয়োগের করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
আরও খবর দেখুন